crkk

প্রায় দুই বছর পর প্রথম কোনো সিরিজ হারল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর থেকে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, আবার জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান – সব সিরিজেই জিতেছে বাংলাদেশ।

chardike-ad
ইংল্যান্ডের কাছে চার উইকেটে হেরে দেশের মাটিতে টানা সপ্তমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের। এ জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল ইংলিশরা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের নৌঙ্গর ভেড়াতে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে টাইগাররা। শেষ মুর্হুতে স্লিপে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ মিস না হলে ম্যাচ ভাগ্য অন্যদিকেও ঘুরতে পারত।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ড ২৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জেমস ভিন্স ও স্যাম বিলিংস। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুজন ৬৩ রান তুলে। ভিন্সকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান নাসির হোসেন।
দ্বিতীয় উইকেটে বেন ডাকেটকে নিয়ে ৬৪ রানের আরেকটি জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চাপের মুখে ফেলে দেন বিলিংস। তবে এরপর মোসাদ্দেকের বলে বিলিংস ফিরে গেলে ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ।
বিলিংস ফেরার পর তৃতীয় উইকেটে ডাকেট ও বেয়ারস্টো মিলে দারুণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ প্রায় ছিনিয়েই নিচ্ছিলেন। তবে ৩২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৭২ রানের মাথায় বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর স্বপ্ন দেখান শফিউল।
পরের ওভারে আক্রমণে এসে বাংলাদেশের স্বপ্নের পরিধি আরো বাড়িয়ে দেন শফিউল। এবার দারুণ খেলতে থাকা ডাকেটকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে উল্লাসে ভাসান শফিউল। উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিয়ে ডাকেটকে সাজঘরের পথ দেখান মুশফিক।
ব্রেক থ্রু’র সন্ধানে ৪১তম ওভারে বল করতে এসে মাশরাফি সরাসরি বোল্ড করেন বাটলারকে।তার আউটে গ্যালারী থেকে কোনো গর্জন না দিয়ে নীরবতাই পালন করে টাইগার সমর্থকরা।উইকেট শিকারে বরাবরই পটু ম্যাশ। পরের ওভারে স্লো বলে টোপ গিললো মঈন আলী।
কিন্তু সপ্তম উইকেটে ওকস ও স্টোকসের অপরাজিত ৪২ রানের জুটি সহজ জয় এনে দেয় সফরকারীদের।
এর আগে তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানের গড়ে দেয়া দারুণ ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেষ দিকে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ২৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন।
১৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারিয়ে বেশ চাপের মুখে পড়ে যায় টাইগারদের টেনে তুলেন মুশফিক ও মোসাদ্দেক। সপ্তম উইকেটে এই দুজন ৭১ বলে ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ২৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে।
বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন। ক্যারিয়ারের ২৩তম হাফসেঞ্চুরি করা মুশির ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কার মার রয়েছে। তার সঙ্গে অপরাজিত থাকা মোসাদ্দেক করেন ৩৯ বলে ৩৮ রান। এর আগে দারুণ ভিত গড়ে দেয়া তামিম ৪৫, ইমরুল ৪৬ ও সাব্বির করেন ৪৯ রান।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন আদিল রশীদ । মঈন আলি ও বেন স্টোকস নেন একটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশীদ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন বেন স্টোকস।