Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ১৬ বছর

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় বাংলাদেশের। সে হিসেবে আজ বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ১৬ বছর পূর্ণ হলো।

chardike-ad

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নেমেছিল নিজেদের প্রথম টেস্ট। সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে সেদিন টস করতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন আমিনুল ইসলাম। বাংলাদেশ করেছিল ৪০০ রান।

অথচ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দল তাদের টেস্ট অভিষেকে ৩০০ রানই করতে পারেনি। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড তো ২০০ রানই পেরোতে পারেনি। আর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৮৪ রানে।

১৬ বছরে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ৯৫টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে আটটি, হেরেছে ৭২টি আর ড্র করেছে ১৫টি। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (১৬টি)। হারও সবচেয়ে বেশি শ্রীলঙ্কা বিপক্ষেই (১৪টি)। বাকি দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।

বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতেছে ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর সবশেষ জয়টি গত মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। যেটি ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। বাকি সাত জয়ের পাঁচটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৬৩৮, ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওই ইনিংসেই দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই। ২০০৭ সালে কলম্বো টেস্ট বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৬২ রানে।

দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রান তামিম ইকবালের (৪৪ ম্যাচে ৩৩৪৯ রান)। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৮) ও সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও (২০৬, ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে) তামিমের।

সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের (৪৪ ম্যাচে ১৫৯ উইকেট)। দেশের হয়ে ১০০ বা এর বেশি উইকেট আছে আর মাত্র একজনের, মোহাম্মদ রফিক। ৩৩ টেস্টে রফিকের উইকেট ঠিক ১০০টি।

দেশকে সবচেয়ে বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিকু রহিম (২৬টি)। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন হাবিবুল বাশার।