আলমা ডিউশ্চার। মাত্র ১০ বছর বয়সে এই মেয়েটি সংগীতজ্ঞ ও কম্পোজার হয়ে উঠেছে। খুব শিগগিরই সে ক্লাসিক্যাল মিউজিক সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। অন্য শিশুদের মতোই সে বাড়ির বাগানে দৌড়াত আর খেলে বেড়াত। কিন্তু সবকিছুই বদলে গেল যেদিন সে পিয়ানোর সামনে বসল আর একটা বেহালা হাতে তুলে নিল।
বেশ কয়েক বছর ধরেই আলমা পিয়ানো আর বেহালার বেশ কয়েকটি সোনাটা, চৌপদী আর সর্বসম্প্রতি পূর্ণদৈর্ঘ্যের অপেরা কম্পোজ করেছে। সংগীত ও যন্ত্রসংগীতের ওপর এই সহজাত দক্ষতা সে হঠাৎ করেই উপলব্ধি করেছে। ‘আমার মনের মধ্যে এই অপূর্ব সুর খেলা করতে থাকে’, সাক্ষাৎকারে বিবিসি-কে জানায় এই ব্রিটিশ শিশু। ‘মনের মধ্যে কখনও কেউ গান গায়, কেউ পিয়ানো বাজায়, কেউ বা বেহালার সুরে ভাসিয়ে দেয়’।
একবার একটা স্বপ্ন দেখেছিল সে। তখন বয়স ৮। আলমা দেখল, রাতের আঁধারে একসেট ই-ফ্ল্যাট পিয়ানো তার স্বপ্নে এলো। ঘুম ভাঙার পর পরই সে স্বপ্নের সেই সুর লিখতে শুরু করলো যেন তা হারিয়ে না যায় বিস্মৃতির অতলে। এজন্য অবশ্য পরদিন স্কুলে বেশ ঝিমুতে হলো।
এখন পর্যন্ত যে মানুষগুলো এই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছেন তাদের সবারই ভাষ্য, আলমা হলো ‘লিটল মিস মোজার্ট’। তার অদ্ভুত ও গভীর প্রতিভা সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। অতি অল্প বয়সে সঙ্গীতে এমন বিরল প্রতিভার অধিকারী বাচ্চাদের দেখা মেলে কদাচিৎ। সমালোচকদের মতে, এদের সবাই যে পরবর্তিতে উদ্ভাবনী কিছু দেখাতে পারে তা নয়। সাধারণত পূর্বের কাজগুলো সামনে এগিয়ে নেয় তারা। তবে এই বয়স থেকেই যদি সঠিক পরিচর্যা করা যায়, তাহলে এরাই গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিতে পারে।
আলমাকে নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তারা এমনটাই মনে করছেন। এই মেয়েটা হয়তো মোজার্টের মতো সংগীতকে কিছু দেবে। কারণ, মাত্র ১০ বছর বয়সেই দুনিয়া কাঁপিয়ে দিচ্ছে সে।
সূত্র : ইন্টারনেট









































