সিউল, ২০ আগষ্ট ২০১৩:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া সোমবার নতুন করে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল দেশ দুটি। খবর বিবিসির।
উভয় দেশের হাজার হাজার সৈনিক এই যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যে দিয়ে তাদের প্রতিরক্ষার সামর্থ্য পরীক্ষা করবেন। দুই কোরিয়ার মানুষের পারিবারিক পুনর্মিলন ও যৌথ শিল্পাঞ্চল খুলে দেয়ার বিষয়ে উত্তর কোরিয়া সম্মত হওয়ার পর এই যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হলো। ইয়োনহ্যাপ সংবাদ সংস্থা জানায়, উলচি ফ্রিডম গার্ডিয়ান নামের বার্ষিক এই যৌথ মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ হাজার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ হাজার সৈন্য অংশ নিচ্ছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই মহড়া চলবে বলে খবরে বলা হয়। এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়, কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতিশীলতা নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতা করা এ মহড়ার উদ্দেশ্য। এছাড়াও উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকারের বিষয়টি পুনরায় উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যেই এই যৌথ সামরিক মহড়া হচ্ছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রস্তাবের ভিত্তিতে আসছে সেপ্টেম্বরে দুই কোরিয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের মানুষের পুনর্মিলনের বিষয়ে গত রবিবার সম্মতি দেয় উত্তর কোরিয়া। ১৯৫০ থেকে ৫৩ সালের যুদ্ধের পর কোরিয়া উপদ্বীপ দুইভাগ হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সংঘাত শেষ হলেও দুই কোরিয়ার মধ্যে এখনও কৌশলগত যুদ্ধ অব্যাহত। ২০১০ সালে সর্বশেষ দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষের পুনর্মিলনি হয়।
গত সপ্তাহে যৌথ শিল্পাঞ্চল পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে দুই কোরিয়া একটি চুক্তিতে উপনীত হয়। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এই কায়েসং শিল্পাঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়ার ১২৩টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ৫০ হাজারেরও বেশি উত্তর কোরীয় শ্রমিক কাজ করে। গত ১২ ফ্রেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালালে এই অঞ্চলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরই প্রেক্ষিতে এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া তার সব শ্রমিককে প্রত্যাহার করে নেয় কায়েসং শিল্পাঞ্চল বন্ধ করে দেয়া হয়। খবরঃ দৈনিক বর্তমান