Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘মুসলিম প্রসাধনী’র ষষ্ঠ বৃহত্তম বাজার বাংলাদেশ

muslim-cosmeticবাংলাদেশ ‘মুসলিম প্রসাধনী’র ষষ্ঠ বৃহত্তম বাজার। স্টেট অব দ্যা গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনোমিক রিপোর্ট-২০১৬-১৭ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জরিপ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থমসন রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজ্য দুবাই এর অর্থায়নে ও নিউইয়র্কের গবেষণা ও পরমর্শক প্রতিষ্ঠান ডিনার স্ট্যান্ডার্ডের সহায়তায় এই প্রতিবদেনটি তৈরি করেছে জরিপ ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থমসন রয়টার্স।

chardike-ad

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ‘মুসলিম প্রসাধনী’র ভোক্তারা ২৫০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে ‘মুসলিম প্রসাধনী’ ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দেশ ভারত। ২০১৫ সালে দেশটিতে ৪৭০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছে দেশটির ভোক্তারা। প্রসাধনী ব্যবহারের এই তালিকায় ভারতের পরে ৩ নম্বরে আছে রাশিয়া। দেশটিতে ২০১৫ সালে ৩৫০ কোটি ডলারে প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়া ইন্দোনেশিয়া আলোচ্য সময়ে ৩৩০ কোটি ডলারের প্রসাধনী ব্যবহার করেছে দেশটির ভোক্তারা। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে তুরস্ক ও মালয়েশিয়া। দেশ দুইটিতে যথাক্রমে ৩১০ কোটি ডলার ও ২৮০ কোটি ডলারের ‘মুসলিম প্রসাধনী’ ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫ সালে এইসব প্রসাধনীর ৪০ শতাংশই ব্যবহৃত হয় অমুসলিম দেশে। অমুসলিম দেশে ব্যবহৃত এই ‘মুসলিম প্রসাধনী’ সামগ্রির সাকুল্য বাজার দর প্রায় ২২০০ কোটি ডলার।

আর ইসলামী দেশেগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহায়তার জোট ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে ২০১৫ সালে ‘মুসলিম প্রসাধনী’ ব্যবহৃত হয় মোট ৩৪০০ কোটি ডলারের।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে সারা বিশ্বের ১০,৫০০ কোটি ডলারের প্রসাধনী চাহিদার মধ্যে কেবল ওআইসিভুক্ত দেশগুলো আমদানি করেছে ১২৭০ কোটি ডলারের ‘মুসলিম প্রসাধনী’।

স্টেট অব দ্যা গ্লোবাল ইসলামিক ইকোনোমিক রিপোর্ট অনুসারে সারা বিশ্বের মুসলিমরা ২০১৫ সালে মোট ৫৬০০ কোটি ডলারের প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করেছে।

প্রতিবেদনে আশা করা হয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ মুসলিম বিশ্বে প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের ২০১৫ সালের তুলনায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।