চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আজ ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলতে পারবে কি না, সেটা নির্ভর করছে যে এই ম্যাচের ফলের ওপরই। অস্ট্রেলিয়া হারলে কিংবা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হবে বাংলাদেশ। কী হবে না হবে, সেটা জানা যাবে আরো কয়েক ঘণ্টা পর।
এজবাস্টনে আগে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৭ রানে আটকে রেখেছে ইংল্যান্ড। ৪০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২০ রান তুলে আরো বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মার্ক উড ও আদিল রশিদের দারুণ বোলিংয়ে শেষ ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রান তুলতে পারে স্টিভ স্মিথের দল।
টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগান। অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটিটা খুব একটা বড় হতে দেননি উড। ডেভিড ওয়ার্নারকে (২১) জস বাটলারের ক্যাচ বানিয়ে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ইংলিশ পেসার। দ্বিতীয় উইকেটে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও অধিনায়ক স্মিথ। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। তবে ইনিংস আর বড় করতে পারেননি।
ফিঞ্চকে (৬৮) ফিরিয়ে ৯৬ রানের জুটি ভেঙেছেন বেন স্টোকস। ফিফটির পরই মার্ক উডের বলে লিয়াম প্ল্যাঙ্কেকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন স্মিথ (৫৬)। এর মাঝে মইসেস হেনরিকেসকে (১৭) ফিরিয়েছেন স্পিনার আদিল রশিদ।
স্মিথের বিদায়ের সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৮১। এরপর ট্রাভিস হেড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে ৩৮ ওভারে দুইশ পেরিয়ে বড় সংগ্রহেরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। দুজনের ৫৮ রানের জুটিটাও বেশ জমে উঠেছিল। এরপরই ১০ বলের ব্যবধানে ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেন ইংলিশ বোলাররা।
৪৩তম ওভারে উডের বলে সীমানা দড়ির কাছে ম্যাক্সওয়েলের (২০) দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন জেসন রয়। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ হবে এটি। পরের ওভারে রশিদ চার বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন ম্যাথু ওয়েড ও মিচেল স্টার্ককে। লেগ স্পিনার নিজের পরের ওভারে এসে ফিরিয়েছেন প্যাট কামিন্সকেও। ৪ উইকেটে ২৩৯ থেকে দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ৮ উইকেটে ২৫৩!
পরের ওভারে স্কোরবোর্ডে আর এক রান যোগ হতেই নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে উডের বলে বোল্ড হয়েছেন অ্যাডাম জামপা। তখন ২৬০-এর আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া। তবে দশম উইকেটে জশ হ্যাজেলউডের সঙ্গে হেডের অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানের জুটি অসিদের ২৭৭ রানের পুঁজি এনে দেয়। ৬৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন হেড।
ইংল্যান্ডের পক্ষে রশিদ ও উড নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। অন্য উইকেটটি স্টোকসের।