বহুজাতিক টুর্নামেন্টে সর্বশেষ তিনবারের মুখোমুখিতে প্রত্যেকবারই ভারতের কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার আর দলের হারত দেখতে চান না কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। সেটা অবশ্য কখনোই চাননি তিনি। তবে এবার তার না চাওয়ার তীব্রতাটা আগের চেয়ে বেশিই।
বেদনার শুরু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল দিয়ে। বাংলাদেশ তখন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে মরিয়া। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে হেরে যেতে হয় মাশরাফিদের। এরপর বাংলাদেশ সফরে এসে মোস্তাফিজুর রহমানের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে সিরিজ হেরে যায় ভারত। তাতে বিশ্বকাপের হারের বেদনায় কিছুটা প্রলেপ পড়েছিলো বটে, কিন্তু পুরো উপশম হয়নি।
পুরোনো বেদনার দাগ মুছে ফেলার সুযোগ এসেছিলো ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপও হতাশ করে বাংলাদেশকে। এরপর ব্যাঙ্গালুরুর সেই এক রানের কুখ্যাত হার।
এমন বেদনায় আরো একবার পুড়তে নারাজ হাথুরুসিংহে। সোমবার দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে উপস্থিত কোচ কথা বলেছেন ঢাকা থেকে যাওয়া সংবাদকর্মীদের সঙ্গে। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে বড় ব্যাবধানে হেরেছিলাম। এশিয়া কাপের ফাইনালটা জমে উঠেছিলো। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়ে হার। মানে আমরা কাছাকাছিই আছি!’
কাছাকাছি— বলতে কোচ জয়ের কাছাকাছিই বুঝিয়েছেন, এটা বুঝতে নিশ্চয় মনোবিদ হওয়ার দরকার নেই! কোচকে অবশ্য তারপরও সরাসরি জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, তিনি জয়ের কথাই ভাবছেন কিনা। উত্তরে কোচ কেবল বলছেন, দেখা যাক!
কোচ যা দেখতে চাইছেন, তা অবশ্যই জয়। কিন্তু চাইলেই তো হবে না। ভারতের মতো দলকে হারাতে হলে খেলতে হবে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই। বিশেষ করে বাংলাদেশের পেসারদের দিতে হবে কঠিনতম পরীক্ষা। সেটা কোচের ভালো হয়তো পেসাররাই বোঝেন। বোঝেন বলেই অনুশীলনের নির্ধারিত সূচি না থাকার পরও গতকাল অনুশীলনে ছিলেন মাশরাফি, মোস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিনরা।