Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যে ৫ কারণে জয় পেতে পারে বাংলাদেশ

bangladesh২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ে ভারতের কাছে হারের পর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই প্রায় যুদ্ধাবস্থা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ১ রানে ভারতের জয় এ উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে আরও। এবার সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে সেই হারের প্রতিশোধের সুযোগ। বার্মিংহামের এজবাস্টনে আজ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩.৩০ মিনিটে। সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, মাছরাঙা টিভি, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস ১।

এদিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচটি নিয়ে নিয়ে চলছে দারুণ উত্তেজনা। দুই দলই জয় পেতে মরিয়া। এরপরও ম্যাচে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ভারত। তবে এরপরও কোহলির দলকে পাঁচটি কারণে হারিয়ে দিতে পারে বাংলাদেশ দল। কারণগুলো হলঃ

chardike-ad

ফর্মে থাকা তামিম : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মত বিশ্ব আসরের কোন টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকাটা সব সময়ই যে কোন দলের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলের বেলায় একটি নাম হতে পারে তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছে এই তারকা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হওযা ছাড়া অন্য সব ম্যাচেই বড় স্কোর গড়েছেন এই ওপেনার। টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আজ ভারতকে হারাতে এ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আরেকটা বড় ইনিংস আশা করছে বাংলাদেশ।

ব্যাটসম্যানদের চাপ নেয়ার ক্ষমতা : দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে অনেক দলই চাপের মধ্যেও ভাল খেলে দলকে জিতিয়ে আনতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বড় দলগুলোর বিপক্ষে বহুবার তার প্রমাণ দিয়েছেন। টাইগারদের মিডল অর্ডারে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছ থেকে অনেক বড় কিছু পেয়েছে দল। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তারা কেবল খারাপ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তোলেননি, একই সঙ্গে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন।

সাইলেন্ট কিলার মাহমুদউল্লাহ : বাংলাদেশের দলের সাইলেন্ট কিলার ধরা হয় মাহমুদউলাহ রিয়াদকে। ২০১৫ বিশ্বকাপে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দেশের ইতিহাসে অমরত্ব পেয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে সাকিবের পাশে অন্যতম নায়ক তিনিও। আর নিজের দিনে রিয়াদ কতটা বিপজ্জনক প্রায় সব প্রতিপক্ষেরই জানা। আজকেও ম্যাচে হয়তো তার ব্যাটেই জয় পেতে পারে টাইগাররা।

ডার্ক হর্স : প্রত্যাশা কম থাকবে : টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ে ফেবারিট ভারত এবং লিগ পর্বের ম্যাচগুলোতে তারা সে প্রমাণও দিয়েছে। বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার চাপটা বিরাট কোহলির দলের ওপরই বেশি থাকবে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলবে এবং তাদের ওপর কোন চাপ থাকবে না, তারা আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামবে। সেহেতু এই আন্ডারডগ তকমাটাই তাদের জন্য একটি সুবিধা হিসেবে কাজ করতে পারে। কেননা, কোন চাপ না থাকলে যে কোন দলই নির্ভয়ে খেলতে পারে।

পার্টটাইম বোলার : কখনো কখনো প্রধান বোলারদের চেয়ে পার্টটাইম বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্যাটসম্যানরা পার্টটাইমারদের গ্রাহ্য কম করায় তাদেরকেই উইকেট বিলিয়ে দেয়। টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশ খুঁজে পেয়েছে ডান হাতি অফ ব্রেক বোলার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কিউইদের মেরুদ- ভেঙে দিয়েছেন এ পার্টটাইমার। মাত্র তিন ওভারে নিউজিল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট শিকার করেছেন সৈকত। আজকের ম্যাচেও এমন কিছু করে বাংলাদেশকে এনে দিতে পারে ঐতিহাসিক জয়।