Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিক ধরতে সাঁড়াশি অভিযান

ফাইল ফটো

মালয়েশিয়ায় অবৈধ শ্রমিক ধরতে শুক্রবার মাঝরাত থেকে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ই-কার্ড নিবন্ধনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ হতে ই-কার্ড নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫৪১জন নিয়োগকারীর মাধ্যমে ২ লাখ ৬০ হাজার ৯৮১জন নিবন্ধন করেছে।

chardike-ad

এর মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জনকে ই-কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশার মাত্র ২৩ শতাংশ। মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন বিভাগের লক্ষ্য ছিল প্রায় ৬ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ই-কার্ডের আওতায় নিবন্ধন করানো।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী অবৈধ অভিবাসীদের নিবন্ধনের এই চিত্র দেখে হতাশ। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বহুবার এই ই-কার্ড নিবন্ধনের সময়সীমার উপর জোর দিয়েছি। এই সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হবে এবং তাদের নিয়োগদাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা লোকদের চাকরি দিয়েছে তারাও রেহাই পাবে না।’

শেষ মুহূর্তে ইমিগ্রেশন বিভাগের সদর দফতরে অবৈধ শ্রমিক এবং নিয়োগদাতাদের এখন উপচে পড়া ভিড়। তারা শেষ সময়টাতে ই-কার্ডের নিবন্ধনের জন্য হাজির হয়েছেন।

মুস্তাফার আলী বলেন, শুক্রবার মাঝরাতেই যেহেতু নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা খুব বেশি হলে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কাজ করবে। রাত সাড়ে ১১টার পর যেসব আবেদন জমা পড়বে সেগুলো একপাশে রাখা হবে। কারণ আগে যারা আবেদন করেছে তাদের নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আগে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি জানান, সবচেয়ে বেশি অবৈধ শ্রমিক বাংলাদেশি। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার এবং নেপালের নাগরিক রয়েছে। এই নিবন্ধনের আওতায় কতজন অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত হয়েছেন তার হিসেব এখনও পাওয় যায়নি।