নিষেধাজ্ঞার অন্ধকার পথটা শেষ করে গত বছরেই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের আলো ঝলমলে জগতে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। কিন্তু ব্যাট হাতে তার পুরোনো দ্যুতির দেখা মিলেনি। জাতীয় লিগ বা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ; সব আসরেই আশরাফুল হয়ে ছিলেন নিজের ছায়া। কিংবা তার চেয়েও আবছা কিছু। তবে সেই আবছায়া রূপ ভেঙে নতুন করে পুরোনো চেহারায় ফিরতে মরিয়া তিনি। এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই প্রস্তুত হচ্ছেন মাশরাফি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে দেখা গেলো মিরপুরের ইনডোরে একাগ্রচিত্তে অনুশীলনে মগ্ন। গত প্রিমিয়ার লিগের তুলনায় ফিটনেসটা বেশ উন্নত হয়েছে এখন। শরীরের বাড়তি মেদও চোখে পড়লো না এবার। ঝড়ঝড়ে আশরাফুল দীর্ঘ সময় ব্যস্ত থাকলেন ব্যাটিং অনুশীলনে।
এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই জানালেন নিজের নতুন চ্যালেঞ্জের কথা। আশরাফুল বলেন, ‘গত বছর জাতীয় লিগ দিয়ে শুরু করেছিলাম। এরপর প্রিমিয়ার লিগে ১০টি ইনিংস খেলেছি। সত্যি বলতে, তেমন কোনো পারফর্ম করতে পারিনি। প্রস্তুতি খুব ভালো ছিলো না। পারিবারিক কিছু ঝামেলাও ছিলো। সব মিলিয়ে আমি ভালো কিছুই করতেই পারিনি।’
ব্যর্থতার এই খতিয়ানে আর চোখ বুলাতে চান না আশরাফুল। তিনি বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় লিগ। এরপর বিপিএল, বিসিএল হয়ে আবার ঢাকা লিগ। সামনের ব্যস্ত মৌসুম শুরু হওয়ার আগে প্রায় তিনমাস সময় আছে। এই ৯০ দিনের মধ্যে আমি যদি ৫০ দিনও অনুশীলন করি, আশা সামনে আমার খেলাটা খেলতে পারবো।’
নিজের সময়ে জাতীয় দলের সেরা ব্যাটসম্যান থাকলেও আশরাফুল নিজের ধারাবাহিকতা কখনোই ধরে রাখতে পারেননি। তবে তিনি যেদিন খেলেছেন, সে দিন প্রতিপক্ষ চুরমার হয়ে গেছে। এই ইতিহাস নিশ্চয় ভোলেননি আশরাফুল। সেই না ভোলা ইতিহাসই নিশ্চয় এখনো অনুপ্রেরণা দেয় তাকে। আশরাফুল কি পারবেন আবার ইতিহাসের সেই পৃষ্ঠা থেকে উঠে আবার মাঠ মাতাতে? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য আপাতত অপেক্ষা ছাড়া অবশ্য কিছু করার নেই।