ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটারদের খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই তাদের পক্ষে পড়াশোনার জন্য সময় বের করাটা বেশ কঠিনই হয়ে পড়ে। কিন্তু ক্রিকেট দুনিয়ায় আলোচিত এমন অনেক ক্রিকেটারই আছেন, যারা খেলার মাঠে যেমন দুর্দান্ত, পড়াশোনায়ও তুখোড়। এমনই একজন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
জাতীয় দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর দুটোতেই পেয়েছেন প্রথম শ্রেণি। এর আগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন জিপিএ-৫ নিয়ে। এবার ২৯ বছর বয়সী জাতীয় দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান হাঁটছেন পিএইচডি তথা ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পথে।
বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ শিক্ষিত এই ক্রিকেটারের পিএচডির বিষয় হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট। এ প্রসঙ্গে দেশের শীর্ষ ইংরেজী দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুশফিক বলেন, ‘আমার খেলাধুলার উপর পিএইচডি করার পরিকল্পনা ছিল এবং সেই মোতাবেক আমি সেটা শুরুও করে দিয়েছি। আপাতত আমি দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটের উপর পিএইচডি করার কথা ভাবছি।’
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খেলাধুলা আর পড়াশোনার অবস্থান বিপরীত মেরুতে। তবে এই দুই মেরুকে মিলিয়েছেন মুশফিক। আর উৎসাহটা পেয়েছেন বাবা-মার কাছ থেকেই। এ প্রসঙ্গে মুশফিকের ভাষ্য, ‘শিক্ষাগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে আরও জ্ঞানী হতে সাহায্য করে। একজন মানুষ হিসেবে আমি চাই আমার পরবর্তী প্রজন্ম তাদের বাবা-মায়ের দিকে লক্ষ্য করুক এবং অনুধাবন করুক শিক্ষা অর্জন কতটা গুরুত্বপূর্ণ- তা আপনি যে-ই হোন না কেন। আমার বাবা-মা সবসময়ই আমাকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছেন।’