Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মৃত্যু এঁকে দিল ৫৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ

rajjak-lokkhiটালিগঞ্জের মোল্লাবাড়িতে আকবর হোসেন ও মিনারুন্নেসার ছোট ছেলে আবদুর রাজ্জাক মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৬২ সালে বিয়ে করেন লক্ষ্মীকে। সুখে দুখে সব সময় পাশাপাশি ছিলেন রাজ্জাক-লক্ষ্মী। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও ঈর্ষার বিষয় ছিলেন এই দম্পতি। দীর্ঘ ৫৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদ এঁকে দিল একটি মৃত্যু।

না ফেরার দেশে চলে গেলেন নায়করাজ রাজ্জাক। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্জাক।

chardike-ad

প্রিয় মানুষ ও সুখে দুখের সঙ্গীর মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গেছেন তার স্ত্রী লক্ষ্মী। ইউনাইটেড হাসপাতালে তাঁকে দেখা গেল নির্বাক, কেউ কথা বলতে গেলেও নীরবে কেঁদে যাচ্ছেন। আসলে এই সময় কোনো সান্ত্বনা কাজ করে না। বিচ্ছেদ বড় বেদনাময়। যে রুমে রাজ্জাকের মরদেহ রাখা ছিল তার বাইরেই বসে ছিলেন রাজ্জাকের স্ত্রী লক্ষ্মী।

বড় ছেলে বাপ্পারাজ, ছোট ছেলে সম্রাটের ছেলেমেয়েদের সাথে সুখেই কাটছিল দিন। হাসি তামাশা আর বেড়ানো এসব নিয়েই সুখের সংসার ছিল রাজ্জাকের। সেসব কিছু ছেড়ে আজ তিনি পাড়ি জমালেন পরপাড়ে।

১৯৬৪ সালে শরণার্থী হয়ে ঢাকায় আসেন। এর পর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রে। দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা। সেই থেকে শুরু।

রাজ্জাকের নায়ক জীবনে জন্ম হয়েছে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো জুটি। রাজ্জাক-কবরী জুটির কথা আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিই পেয়েছে ক্লাসিকের খ্যাতি। আগের দিনের অনেক তারকার মতো এখনকার তারকাদের চোখেও রাজ্জাক একজন আইডল।

অভিনয় জীবনের এক পর্যায়ে ছবি পরিচালনার কাজও শুরু করেন রাজ্জাক। ষোলটির মতো ছায়াছবি পরিচালনা করেছেন তিনি।