Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নায়কদের কাঁধে চড়ে নায়করাজের বিদায়

sakibনায়করাজ রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টায়। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের হিমঘর থেকে মরদেহ নিয়ে সমাহিত করা হয় বনানী কবরস্থানে।

মরদেহ দাফনের সময় খাটিয়া কাঁধে নিয়েছিলেন ঢাকাই ছবির চার নায়ক। তাদের কাঁধে চড়েই শেষ ঠিকানায় গেলেন চলচ্চিত্রের এই প্রাণপুরুষ। তারা হলেন রাজ্জাকের দুই পুত্র চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ, সম্রাট, শাকিব খান ও জায়েদ খান। আরও ছিলেন নায়করাজের মেজ ছেলে কানাডা প্রবাসী বাপ্পি। আর খাটিয়ার পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন আরও দুই নায়ক উজ্জ্বল ও ফেরদৌস।

chardike-ad

মরদেহ দাফন শেষে নায়করাজের ছোট ছেলে সম্রাট বলেন, ‌‘আব্বা আমার হাতেই মারা গেছেন। তার যাওয়ার সময় কোনো কষ্ট হয়নি। আল্লাহর অশেষ রহমত। আব্বা যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন তবে তাকে মাফ করে দেবেন। তিনি যেন বেহেশতবাসি সেজন্য সবাই দোয়া করবেন।’

শাকিব বলেন, ‘নায়করাজ আমার বাবার মতো। সম্রাটের (নায়ক রাজের ছোট ছেলে খালিদ হোসাইন সম্রাট) কাছ থেকে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সুখী হোক, দুঃখে হোক তার কাছে গিয়েছি। তিনি স্নেহের আশ্রয় দিয়েছেন। সবসময় তাকে প্রেরণা করে সামনে এগিয়ে গেছি।’

জায়েদ খান বলেন, ‘নায়করাজ রাজ্জাক শুধু একজন অভিনেতা বা শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নন, তিনি একজন পরিচালকও। দেশের মানুষের ভালোবাসায় তিনি নায়করাজ হয়েছেন। তার লাশ কাঁধে বইবার চেয়ে কঠিন বা কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। আল্লাহ আমাদের স্বপ্নের নায়ককে বেহেশত দান করুন।’

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে এ কিংবদন্তি অভিনেতা মারা যান। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এফডিসিতে তার মরদেহ আনা হয়। সেখানে তার সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও প্রথম জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা শেষে গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ। সেখান স্বজনরা দেখার পর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তি অভিনেতার মৃত্যুতে শোকাহত ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীরা। রাজ্জাকের মৃত্যুতে তিনদিনের শোক পালন করছে এফডিসি।