উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা চীন ও নামিবিয়ার প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে জাপান। গতকাল তারা এ ঘোষণা দেয়। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে জড়িত পেইচিং ও মস্কোর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করার কয়েক দিন পর জাপান এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানাল। বেশ কিছু ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাপান এই ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জাপানের সংবাদমাধ্যম গতকাল জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নামিবিয়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। জাপান সরকারের শীর্ষস্থানীয় মুখপাত্র ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, ‘অপারমাণবিকীকরণের পথে উত্তর কোরিয়াকে এগিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে আমরা সব সময় জোরালোভাবে আহ্বান জানাব। এখন তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করার সময় এসেছে। ’
উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচিতে অর্থায়নে বাধা সৃষ্টি করায় এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। জাপান এর আগে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত গবেষণা কর্মসূচি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণে যুক্ত ব্যক্তিগত এবং প্রতিষ্ঠানের সম্পদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চীন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। গতকালও তারা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পেইচিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, ‘চীনের প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত সম্পদকে লক্ষ্য করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাইরে যেকোনো ধরনের একতরফা নিষেধাজ্ঞার জোর বিরোধিতা করছি। আমরা জাপানকে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
এই মাসে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকে চীন সমর্থন জানিয়েছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া থেকে লোহা, লৌহজাত দ্রব্য এবং সমুদ্রজাত খাবারের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা বহাল করে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে। এরই মধ্যে তারা গত ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর কোরিয়ার কয়লা আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
সূত্র : এএফপি।