Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পাকিস্তান গেলেন তামিম

tamimপাকিস্তানে আন্তর্জাতিক একাদশের হয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য শনিবার রাতে লাহোরে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ফ্যাফ ডু প্লেসিসের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের যে দল ঘোষণা করা হয়েছে সেই দলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন তামিম। দলটির কোচের ভুমিকায় থাকছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) শুরু হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক একাদশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে একদিন পর, ১৩ সেপ্টেম্বর এবং শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে একই ভেন্যুতে ১৫ সেপ্টেম্বর।

chardike-ad

আন্তর্জাতিক একাদশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তামিমই সবার আগে পাকিস্তান পৌঁছেছেন। দলের বাকি সদস্যরা এখন অবস্থান করছেন দুবাইতে। সেখানে তারা তিনদিনের প্রস্তুতি শেষে লাহোর গিয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর গত প্রায় সাড়ে ৮ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত দেশটি। এর মধ্যে আফগানিস্তান কিংবা জিম্বাবুয়ের মত দেশগুলো সংক্ষিপ্ত সফরে পাকিস্তান সফর করে গেলেও সেগুলো আইসিসি স্বীকৃত ছিল না। তবে এবারই প্রথম আইসিসি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

সম্প্রতি দেশটিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ার কারণে আইসিসি এই উদ্যেগ গ্রহণ করে। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে যখন দেশটি বদ্ধপরিকর, তখন আইসিসিও বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেছে। লাহোরে পিএসএল ফাইনাল আয়োজনের পর ক্রিকেটারদের প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে। এরপরই আন্তর্জাতিক একাদশের এই সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয় আইসিসি।

আন্তর্জাতিক একাদশের হয়ে পাকিস্তান খেলতে যাওয়ার আগে এখানকার মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি নিজেকে খুবই গর্বিত ভাবছি, এ কারণে যে- বিশ্বের সেরা সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছি বলে। একই সঙ্গে একটি দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখতে পেরে ইতিহাসের অংশ হয়ে যাচ্ছি। এ কারণেও গর্ববোধ করছি।’

আইসিসির প্রশংসা করে তামিম বলেন, ‘পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর জন্য আইসিসি যে পদক্ষেপ নিয়েছে এটা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আর এই তিন ম্যাচের সিরিজের সাফল্যের ওপরই নির্ভর করছে দেশটির ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। যদি ভালোভাবে আয়োজনে সফল হয়, তাহলে আশা করি নিকট ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশ পাকিস্তানে এসে খেলার কথা চিন্তা করবে।’