অভিবাসন নীতি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে বসবাস ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই অভিযোগে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শতাধিক অভিবাসীকে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটি।
ওই ১১ বাংলাদেশিসহ শতাধিক অভিবাসী নিয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের বিশেষ বিমান স্থানীয় সময় বুধবার ভোররাতে দক্ষিণ এশিয়ার উদ্দেশে উড়াল দেয় বলে জানা গেছে।
একদিকে অভিবাসনের আইন লঙ্ঘন, অপরদিকে নানাবিধ অপকর্মে লিপ্তদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের যে কার্যক্রম চলছে, তারই ধারাবাহিকতায় এদের গ্রেপ্তার করে নিজ নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
তবে এই ১১ বাংলাদেশির একজনও কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের অপরাধ একটাই, আর তা হচ্ছে অভিবাসনের মর্যাদা পাননি। তারা সকলেই ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা দোকানের বিক্রেতা অথবা ট্যাক্সি চালিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন বলে জানা গেছে।
ফেরত পাঠানো ১১ বাংলাদেশির মধ্যে কুষ্টিয়ার মোজাম্মেল হক এবং তার স্ত্রী নাসরীন সুলতানা রয়েছেন। মাজেদা উদ্দিন জানান, ব্রুকলিনের কোনি আইল্যান্ডে রেস্তোরাঁয় কর্মরত অবস্থায় মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একই রেস্তোরাঁয় কাজ করা তার স্ত্রী বাধা দিয়ে ফেঁসে গেছেন। কারণ তিনিও অবৈধভাবে এদেশে বাস করছিলেন।
এ ধরনের অভিযানের প্রেক্ষাপটে সবাইকে পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাদের পরিচয়পত্র নেই, তারা যেন এমন কিছু সঙ্গে রাখেন, যা দিয়ে গ্রেফতার এড়ানো যায়। বিশেষ করে যাদের অভিবাসী মর্যাদার ‘এডজাস্টমেন্ট’ অথবা অন্য কোনো কর্মসূচিতে আবেদন ঝুলে রয়েছে, তারা যেন অ্যাটর্নির পরামর্শ অনুযায়ী চলাচল করেন।
প্রসঙ্গত, এ বছর দৈনিক গড়ে প্রায় ৪০০ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এ সংখ্যা গত বছরের চেয়ে তা ৪০ শতাংশ বেশি।