মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে নিহত আরও দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশের একজন, অন্যজন মালায়শিয়ান চাইনিজ। সোমবার বেলা ১১টায় এ দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১টায় দমকলবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। এর আগে ২২ অক্টোবর তিন বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে হাসপাতালে চারজনের মরদেহ অজ্ঞাত অবস্থায় থাকলেও এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তারা কোন দেশের নাগরিক তা শনাক্ত করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ২১ অক্টোবর মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পেনাং রাজ্যের জার্জটাউন এলাকায় একটি নির্মাণ প্রকল্পে ভূমিধসে ১৪ জন শ্রমিক নিহত হন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর এ প্রতিবেদককে জানান, পেনাং রাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের কন্স্যাল জেনারেল দাতো ইসমাইল হাসপাতালে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশি আর কতজন রয়েছেন তাদের নাম শনাক্ত করে জানাবেন। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত দেশে প্রেরণ করা হবে।
গত তিনদিন উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান দূতাবাসের প্রতিনিধি থাকলেও নেই শুধু বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধি। এ নিয়ে উদ্ধারকর্মী ও স্থানীয় প্রসাশনের কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানিয় প্রসাশনের পাশাপাশি পেনাং রাজ্যে কর্মরত বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা এবং কনসাল জেনারেলকে খোঁজে পাননি ঘটনাস্থলে।
পেনাং রাজ্যের বাংলাদেশ পিপুলস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনূছ আলী এ প্রতিবেদককে জানান, আমি সার্বক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছিলাম। ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার ও পাকিস্তান দূতাবাসের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো প্রমিনিধিকে দেখা যায়নি।
ইউনূছ আলী ক্ষোভ পকাশ করে বলেন, আমরা বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও দেশে যেমন অবহেলিত প্রবাসে এসেও অবহেলিত। দূতাবাসের কোনো প্রতিনিধি থাকলে হয়তবা বাংলাদেশি নাগরিক শনাক্তকরণে সহজ হত বলে জানান তিনি। এ যেন দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে শ্রম শাখা থেকে বলা হয়েছে পেনাং রাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনসাল জেনারেল দাতো ইসমাইল ঘটনাস্থলে ছিলেন। এ প্রতিবেদক দাতু ইসমাইলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জাগো নিউজ
জেডএ/আরআইপি