Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ওরা তিনজন জুয়া খেলতে ক্যাসিনোয় যায়নি : পাপন

papon-nasir-safiul-taskinপারফরমেন্সে পাদপ্রদীপের আলোয় থাকলে তবু একটা কথা ছিল। ব্যাট ও বল হাতে তাদের কোনোই উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স নেই। পারফরমেন্স এক কথায় ‘যাচ্ছেতাই’; কিন্তু তাতে কী! তাদের কোনোই বিকার নেই।

রোববার (২২ অক্টোবর) ইস্ট লন্ডনে শেষ ওয়ানডেতে ২০০ রানে হারের পর ক্যাসিনোয় গিয়ে উল্টো শিরোনামে নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। দেশের অন্যতম শীর্ষ এক বাংলা দৈনিকে আজ ওই তিন ক্রিকেটারের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর রাতে ক্যাসিনোয় যাবার খবর প্রকাশিত হয়েছে।

chardike-ad

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ কভার করতে যাওয়া এক সিনিয়র সাংবাদিক ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। ওই প্রতিবেদনে তোলপাড় দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে চরম ভরাডুবির পর কোনো দলের ক্রিকেটার সেই রাতে ক্যাসিনোয় যায় কীভাবে? তাদের মনে ক্যাসিনোয় যাবার ইচ্ছে জাগে কী করে? তারা কীভাবে গেল? রাত করে টিম হোটেলে ফিরল? টিম ম্যানেজমেন্ট কী করল?

এসব প্রশ্ন এখন ক্রিকেট অনুরাগীদের মুখে মুখে। আজ বিসিবি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের কাছ থেকে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন নাজমুল হাসান পাপনও। নিয়ম-নীতি মানলে তিনি এখন বোর্ড সভাপতি নন।

তবে নির্বাচনের হাল হকিকত যা, তাতে নাজমুল হাসান পাপনই যে আবার বিসিবি প্রধান হচ্ছেন- তা নিয়ে কোনোই সংশয় নেই। তাই তো তাকেই বোর্ডের আগামী দিনের কাণ্ডারি ধরে প্রশ্ন, তিন ক্রিকেটারের ক্যাসিনোয় যাওয়া এবং এ বিষয়ে বোর্ডের চিন্তা-ভাবনা ও অ্যাকশন কী হবে?

বোঝাই গেল নাজমুল হাসান পাপনও মনে মনে তৈরিই ছিলেন এ প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য। তাই তো তার মুখে গোছালো জবাব, হ্যাঁ একটি দৈনিকে এমন খবর এসেছে। আমরাও জেনেছি। টিম ম্যানেজমেন্টর সঙ্গেও কথা হয়েছে। ‘আমরা যতটা জেনেছি তাহলো- নাসির, শফিউল ও তাসকিন আসলে ক্যাসিনোয়… খেলতে যায়নি। আর আমরা এটাও জেনেছি, তারা যেখানে গেছে সেটা আসলে ঠিক ক্যাসিনো নয়। একট মল। যেখানে ক্যাসিনো আছে। আরও নানারকম খাবার দাবার ও খেলাধুলার ব্যবস্থাও আছে। আমরা জেনেছি, ক্রিকেটাররা ক্যাসিনোয় খেলতে যায়নি। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকান সুপার স্টার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাবাদার সঙ্গে তাদের দেখা হয়েছে। তারা একসঙ্গে সময়ও কাটিয়েছে। কাজেই আমরা মোটামুটি নিশ্চিত তারা ক্যাসিনোয় জুয়া খেলার উদ্দেশে যায়নি।’

এ কারণে তাদের অপরাধকে ছোট করে দেখছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘তাই তাদের অপরাধকে খুব গুরুতর ধরা যাচ্ছে না। তবে আমরা যেটা খুঁটিয়ে দেখব, তাহলো তারা টিমের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে একটু বেশি রাত করে হোটেলে ফিরেছে। সাধারণত রাত ১০টার মধ্যে হোটেলে ফেরার কথা; কিন্তু আমরা জেনেছি ক্রিকেটাররা ১০টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত বাইরে ছিল। এই যে বেশি সময় থাকার কারণেই তাদের শাস্তি হতে পারে।’

মোট কথা, নাজমুল হাসান পাপনের কথায় পরিষ্কার- নাসির, শফিউল ও তাসকিন কঠোর শাস্তির মুখে না পড়তে পারেন। তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনোডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নাও নেয়া হতে পারে। কারণ বোর্ড মোটামুটি নিশ্চিত, ক্রিকেটাররা ঠিক জুয়া খেলার উদ্দেশে ক্যাসিনোয় যায়নি। আর গিয়ে জুয়াও খেলেনি। যেখানে গেছে, সেটা আসলে একটা মল। যেখানে ক্যাসিনো ছাড়াও বিনোদনের এবং খাবারের আরও সুযোগ সুবিধা ছিল।

নাসির, শফিউল ও তাসকিন অন্য বিনোদনমূলক খেলায় অংশ নিয়েছেন। হয়ত ডিনারও করতে পারেন। তাই তাদেও বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেয়া নাও হতে পারে।