Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অভিনব কায়দায় ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ীর টাকা লুট

taka-loot
প্রতারক চক্রের তিন সদস্য

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার অগ্রণী ব্যাংক শাখা থেকে আবদুর রাজ্জাক নামে এক সবজি ব্যবসায়ীর পাঁচ লাখ ৭২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে তিন সদস্যের একটি প্রতারক দল। রবিবার (২৯ অক্টোবর) একটি শপিং ব্যাগে ওই টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক। ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাকের (৬০) বাড়ি পাবনা জেলায়। তিনি কুমিল্লায় পাইকারি ব্যবসা করেন।

সূত্র জানায়, আবদুর রাজ্জাক উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রাকে সবজি এনে কুমিল্লার নিমসার বাজার এলাকার বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করেন। রবিবার সকালে তিনি নিমসার বাজারে আড়ত মালিক সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে সবজি বিক্রির পাঁচ লাখ ৭২ হাজার টাকা নেন। বেলা পৌনে ১১টায় তিনি একটি শপিং ব্যাগে ওই টাকা নিয়ে ব্যাংকে তার একাউন্টে জমা দিতে যান।

chardike-ad

ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, আবদুর রাজ্জাক টাকার ব্যাগটি নিয়ে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে দাঁড়ান। এ সময় তার পেছনে থাকা প্রতারক চক্রের এক সদস্য নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা নিচে ফেলে দেয়। আরেক সদস্য এসে আবদুর রাজ্জাককে বলে তার পায়ের কাছে টাকা পড়ে আছে। এ সময় আবদুর রাজ্জাক তার টাকার ব্যাগটি ক্যাশ কাউন্টারের গ্লাসের সামনে রেখে নিচু হয়ে টাকা তুলতে যান। এই ফাঁকে অপর পাশে থাকা চক্রের অন্য সদস্য টাকার ব্যাগটি হাতে নিয়ে নেয়। একই সময় চক্রের তিন সদস্য দ্রুত ব্যাংক থেকে বের হয়ে যায়। আবদুর রাজ্জাক নিচ থেকে টাকা তুলে দাঁড়িয়ে তার ব্যাগটি না পেয়ে এদিক ওদিক খুঁজতে থাকেন। তিনি চিৎকার করে বিষয়টি উপস্থিত লোকজনদের জানান।

সিসি টিভির ফুটেজে আরও দেখা যায়, ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক ব্যাংকে প্রবেশের ১৫ মিনিট আগেই প্রতারক চক্রের তিন সদস্য ব্যাংকে প্রবেশ করে।

ঘটনার পরপর ব্যাংকের ম্যানেজার জয়ন্ত সেন দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মঞ্জুর কাদের ভূইয়া ঘটনাস্থলে যান। পরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন, বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে ব্যাংকে গিয়ে সিসি টিভির ফুটেজ দেখেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ১১ দিন আগে বুড়িচং সদর বাজারে সোনালী ব্যাংক থেকে আবদুল কুদ্দুছ নামে এক ব্যবসায়ীর এক লাখ টাকা নিয়ে যায় একটি চক্র। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে এ দু’টি ঘটনা একই চক্রের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।