নিজস্ব প্রতিবেদক, সিউল, ১৩ অক্টোবর ২০১৩:
বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সিউলে আজকে শিল্পকলা একাডেমীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাত্র ২০ মিনিটেই শেষ হয়। ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং ৫টায় শেষ হয়। কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য পর্ব ছিল ৮ থেকে ১০ মিনিটের মতো। কয়েকটি গান এবং নাচের মাধ্যমে ২০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান করেই শেষ করে শিল্পকলা একাডেমী থেকে আসা শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং অনুষ্ঠান সম্পর্কিতরা ব্যতীত ৩/৪জন বাংলাদেশী দর্শক উপস্থিত ছিলেন। হান নদীর তীরে হওয়ায় আসা যাওয়ার মধ্যে ৩০/৪০জন মতো কোরিয়ান দর্শক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। তবে ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী এসেও অনুষ্ঠান দেখতে না পেরে ফিরে যান!
কোন প্রচার ছাড়া দেশ থেকে শিল্পীদের নিয়ে এসে এভাবে অনুষ্ঠান করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনুষ্ঠান দেখতে আসা খিয়ংহি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রতীক। তিনি জানান “প্রতিবেশী দেশ ভারত কোরিয়ায় ৩দিনব্যাপী হাজার হাজার মানুষের সমাগম করে উৎসব করতে পারে। কোরিয়ার সাথে আমাদের দেশের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানে কোন দর্শক নাই। দূতাবাসের কোন প্রচারণা ছিল না। অনুষ্ঠান কোথায় হবে বিস্তারিত কিছু জানানোও হয়নি। এটি খুবই দুঃখজনক”।
অনুষ্ঠানে আসা কোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের পিএইচডি গবেষক বদরুল হাসান জানান “ অনুষ্ঠানের স্থান ও কিভাবে আসতে হবে তার কোন নির্দেশনা না থাকায় প্রায় ৩০ মিনিটের মতো অনুষ্ঠান স্থলে আসতে সময় লেগেছে। এসেই দেখি অনুষ্ঠান শেষ”।
উল্লেখ্য, দূতাবাসের ওয়াবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খবর জানানো হয়। সেখানে সময় উল্লেখ করা ছিল বিকাল ৪টায় শুরু হবে। কিন্তু কয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে তার কোন নির্দেশনা ছিলনা।