Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ২৩০ বিমান নিয়ে মহড়া

২৩০ বিমান নিয়ে মহড়া শুরু দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের

কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এ যাবতকালের মধ্যে তাদের সর্ববৃহৎ যৌথ বিমান মহড়া সোমবার শুরু করেছে। এতে বিভিন্ন ধরণের প্রায় ২৩০ টি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ একথা জানায়। খবর সিনহুয়ার।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে বলা হয়, যৌথ যুদ্ধাভিযান সক্ষমতা বাড়াতে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ইউ.এস. সেভেনথ এয়ার ফোর্সের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত হবে ভিজিল্যান্ট এসিই বিমান যুদ্ধ মহড়া।

chardike-ad

এ দুই মিত্র দেশের মধ্যে এটি হচ্ছে এ যাবতকালের মধ্যে তাদের সর্ববৃহৎ যৌথ বিমান মহড়া। এতে ১২ হাজারের বেশী সৈন্য অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া গত ২৯ নভেম্বর হোয়াসং-১৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ব্যাপক এ বিমান মহড়া শুরু করা হলো। পিয়ংইয়ং জানায়, এটি একটি আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্রটি নতুন করে তৈরী করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় চার হাজার ৬শ’ কিলোমিটার উপর দিয়ে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। তারা আরো জানায়, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আঘাত হানতেও সক্ষম।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এ বিমান মহড়াকে কেন্দ্র করে কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে রোববার চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তর কোরিয়া এ মহড়াকে ‘সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছে এতে পারমাণবিক যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।

ফ্লিন-রাশিয়ার যোগাযোগ বেআইনি ছিল না দাবি ট্রাম্পের

বিবিসি ও রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পালা বদলের সময় সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের পদক্ষেপ আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার এক টুইটে তিনি এ দাবি করেন। ট্রাম্প আরো বলেছেন, ফ্লিন এফবিআই ও ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে মিথ্যা বলায় তাকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন।

শনিবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘জেনারেল ফ্লিনকে আমি বরখাস্ত করেছি। কারণ তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এফবিআইকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তখন ফ্লিন তার দোষ স্বীকারও করেছিলেন। এটি খুবই লজ্জাজনক। কিন্তু আমার অন্তর্বর্তীকালীন টিমের সদস্য থাকাবস্থায় তিনি অবৈধ কিছু করেননি। এখানে লুকানোর কিছু নেই।’

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের মন্তব্য থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে সম্ভবত ফ্লিনকে নিয়ে তদন্ত না করতে এফবিআই পরিচালককে অনুরোধ করার আগেই ট্রাম্প তার সাবেক উপদেষ্টা যে এফবিআইকে মিথ্যা বলেছেন, তা হয়তো জানতেন। তবে ট্রাম্প কখন কী জানতেন, টুইটে তা নিশ্চিত বোঝা যাচ্ছে না বলেও স্বীকার করেছেন ওই বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক ফ্লিন ২৪ দিনের জন্য ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সাথে তার আলোচনার বিষয়ে নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন, এটি প্রকাশ হওয়ার পর তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।