Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অবশেষে দুই কোরিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু

korea-meetingঅবশেষে দুই বছর পর উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত শান্তির গ্রাম পানমুনজোমে এ আলোচনা শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশ নেওয়ার বিষয়ে এ বৈঠকে আলোচনা হবে।

উভয় দেশ পাঁচজন করে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে, যারা বৈঠকের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি দলের প্রধান ও দেশটির একীভূতকরণমন্ত্রী চো মিয়ং-গিয়ং বলেন, ‘শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার অংশ নেওয়ার বিষয়ে আমরা বৈঠকে আলোচনা করব। পাশাপাশি দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়েও কথা বলব।’

chardike-ad

উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থার চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার দায়িত্বে থাকা একজন অভিজ্ঞ আলোচক রি সং-গন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এবং আন্তরিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা করবে। তারা ভালো করবে।’ উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ববিষয়ক বিশেষজ্ঞ মিখাইল ম্যাডেন বলেন, ‘আমরা দুই দেশের সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ দেখতে পাচ্ছি।’

তিনি বলেন, উভয় কোরিয়া সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছে, কিন্তু পরবর্তী যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়ার জন্য তারা স্বাভাবিক প্লাটফর্ম হিসেবে কী দেখতে চায়?

দক্ষিণ কোরিয়া আগেই বলেছে, দুই কোরিয়ার সম্পর্কের উন্নয়ন করবে এ বৈঠক। ২০১৫ সালের আলোচনার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো এবং রকেট নিক্ষেপ করার পর উত্তর কোরিয়ার কায়েসং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের একটি যৌথ প্রকল্প বন্ধ করে দেয় সিউল। এরপর দুই দেশের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। এ ঘটনার পর টেলিফোন লাইন কেটে দেওয়াসহ সিউলের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।