Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সারাবিশ্বে কোরিয়ান ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে

অনলাইন প্রতিবেদক, ২২ অক্টোবর, ২০১৩:

কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা টপিকে (টেস্ট অব প্রফিসিয়েন্সি ইন কোরিয়ান) অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (এনআইআইইডি) কর্তৃক পরিচালিত এ টেস্টে চলতি বছরের শেষ আসরে অংশগগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন রেকর্ড সংখ্যক ৬৭,৫৯৫ জন। গত শনি ও রবিবার বিশ্বের ১৭৮টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত এপ্রিলে টপিকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৮ হাজার।

chardike-ad

topikসর্বশেষ সেশনে আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ছিলেন চীনা নাগরিক, সংখ্যায় ২২ সহস্রাধিক। ২য় অবস্থানে রয়েছেন জাপানীরা, তাঁদের সংখ্যা ৮,৮৫৯ জন। ৩য় সর্বোচ্চ আবেদনকারী তাইওয়ানের, ৪ হাজার ২৬ জন।

উল্লেখ্য, কোরিয়ায় উচ্চ শিক্ষা কিংবা কাজের জন্য আসতে ইচ্ছুক বিদেশীদের কোরিয়ান ভাষার ব্যকরণ ও শব্দভাণ্ডারের উপর দখল এবং লেখা, পড়া ও শোনার দক্ষতা যাচাইয়ের একটি লিখিত পরীক্ষা টপিক। বর্তমানে পরীক্ষাটি প্রতি বছর চারটি সেশনে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ বিশ্বের মোট ৪৯টি দেশের ১৬১টি স্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এনআইআইইডির তথ্যমতে ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই টপিকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে টপিকে অংশ নেন ১ লাখ ৫১ হাজার জন যা কিনা ২০০৬ সালে অংশ নেয়া ৩৪ হাজার পরীক্ষার্থীর চার গুণেরও বেশী।

কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশটির গুরুত্ব বৃদ্ধি, কোরিয়ান পপ সংগীত ও নাটক-সিনেমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা বিদেশীদেরকে টপিকে অংশ নিতে আকৃষ্ট করছে। মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০.৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী কোরিয়ান ভাষায় নিজেদের দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য টপিকে অংশ নেন। ২৭ শতাংশ কোরিয়ায় উচ্চ শিক্ষার্থে টেস্ট দেয়ার কথা জানান। ১৬.৮ শতাংশ বলেন কোরিয়ায় চাকুরী পাওয়ার পূর্ব শর্ত হিসেবে ন্যূনতম টপিক স্কোর তুলতেই তাদের পরীক্ষায় বসা।