Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইরান ও উত্তর কোরিয়ার ক্রীড়াবিদদের জন্য স্যামসাং স্মার্টফোন নয়: সিউল

irani-player
ইরানের ক্রীড়াবিদরা এরইমধ্যে সিউলে পৌঁছেছেন

দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা করেছে, আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে সেদেশে শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ইরানি ও উত্তর কোরিয়ান ক্রীড়াবিদদের স্যামসাং স্মার্টফোন দেয়া হবে না। এই অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের বাকি দেশগুলোর ক্রীড়াবিদদের জন্য বিনামূল্যে এই ফোন সরবরাহ করা হবে।

পিয়ংচ্যাং অলিম্পিকের আয়োজকদের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইওনহ্যাপ জানিয়েছে, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

chardike-ad

খবরে বলা হয়েছে, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স আসন্ন অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী সব ক্রীড়াবিদ ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কর্মকর্তাদের সরবরাহ করার জন্য প্রায় ৪,০০০ ‘গ্যালাক্সি নোট ৮’ ফোন প্রস্তুত রেখেছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার ২২ এবং ইরানের চার ক্রীড়াবিদকে এই সুবিধার বাইরে রাখা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করছেন, সামরিক কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছে এ ধরনের পণ্য সরবরাহে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

iran-smartphonr-shop
তেহরানে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স-এর একটি শোরুমে স্মার্টফোন দেখছেন ক্রেতারা

স্বাভাবিকভাবেই দক্ষিণ কোরিয়ার এ সিদ্ধান্ত ইরানে প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি করেছে। কারণ, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের বিশাল বাজার রয়েছে ইরানে। যে স্মার্টফোন সামরিক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে তা ইরানে অবস্থিত স্যামসাং কোম্পানির হাজার হাজার শোরুমে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, ইরানে দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানির শোরুমগুলোতে ওয়াশিং মেশিন, টেলিভিশন, এসি এমনকি টেলিকমিউনিকেশন্স যন্ত্রপাতিরও বিপুল সম্ভার রয়েছে। ইরানে স্যামসাংয়ের আনুষ্ঠানিক দপ্তর রয়েছে এবং তারা গ্রাহককে বিক্রয়োত্তর সেবাও প্রদান করে থাকে।

ইরানের সবচেয়ে বড় অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ মার্কেট- ‘ক্যাফে বাজার’-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে, দেশটির শতকরা ৫১ ভাগ স্মার্টফোট ব্যবহারকারী স্যামসাং কোম্পানির স্মার্টফোন ব্যবহার করেন যার অর্থ দাঁড়ায় এক কোটি ৭৮ লাখ ইরানির হাতে এখন স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের স্মার্টফোন রয়েছে।

এ অবস্থায় শীতকালীন অলিম্পককে সামনে রেখে দক্ষিণ কোরিয়ার এ ঘোষণা ইরানি জনগণের মনে ক্ষোভের পাশাপাশি হাস্যরস তৈরি করেছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

সূত্র- পার্সটুডে