Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘ভারতে নারীদের চেয়ে গরু বেশি মূল্যবান’

istanbul-kathuaভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায়ের ৮ বছরের শিশু আসিফার ধর্ষণ এবং নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু ভারতের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেনি। বরং ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে ভারতবাসী যে আন্দোলন গড়ে তুলেছে তাতে যোগ দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষও।

সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে একদল যুবক কাঠুয়ার শিশু আসিফার বিচার ও নারীদের ভারতে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করে দিতে প্রতিবাদ করেছেন। তবে তাদের এই প্রতিবাদের ভাষা ছিল একটু ভিন্ন। ইস্তাম্বুলের বিমানবন্দরে একদল যুবক সাদা টি-শার্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে সতর্ক করে দিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।

chardike-ad

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার এবং হোয়াটস্যঅ্যাপে তাদের ওই টি-শার্টের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, একটি টি-শার্টের পেছনে লেখা রয়েছে, ভারতে আপনার মেয়েকে পাঠানোর আগে সতর্ক হোন। হ্যাসট্যাগে লেখা হয়েছে #জাস্টিসফরঅাসিফা (#JusticeforAsifa)।

অপর একটি টি-শার্টে লেখা, ‘ভারতে নারীদের চেয়ে গরু বেশি মূল্যবান, #জাস্টিসফরঅাসিফা।

আরেকটি টি-শার্টের পেছনে ‘নারী! ভ্রমণের জন্য ভারতই হবে তোমার শেষ দেশ, এটি হবে তোমার কবরস্থান’ স্লোগান লেখা রয়েছে।

তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি ফটোশপে করা হয়েছে।

যাযাবর মুসলিম সম্প্রদায় বাকেরওয়ালের আট বছরের শিশু আসিফা গত ১০ জানুয়ারি অপহৃত হয়। কাশ্মীরের হিরানগর এলাকার রাসনা গ্রামের একটি মন্দিরে তাকে আটকে রাখা হয়। অপহরণকারীদের মধ্যে একজন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা, দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ক্ষুদে এক যুবক তাকে কাঠুয়ার মন্দিরে আটকে রেখে চেতনানাশক খাইয়ে ছয়দিন গণধর্ষণ করে।

আসিফাকে ধর্ষণ ও হত্যায় মন্দিরের দুই নিরাপত্তা রক্ষীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও উঠেছে। ১৭ জানুয়ারি ওই শিশুর মরদেহ কাছের একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় প্রভাবশালী হিন্দুরা আসিফাকে তার নিজ লোকালয়ে দাফনে বাধা দেয়। দাফনের নামে মুসলিম এই শিশুর পরিবার ভূমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে তারা।

পরে দূরের একটি বনে আসিফার মরদেহ দাফন করা হয় বলে তার বাবা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। পুলিশি তদন্তে শিশুটিকে মন্দিরে আটকে রেখে গণধর্ষণের প্রমাণ মেলে। পুলিশের প্রতিবেদন প্রকাশের পর আসিফার ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়।

সোমবার কাঠুয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.এস ল্যাঙ্গেহ’র আদালতে শিশু আসিফার প্রধান সন্দেহভাজন ঘাতক সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা সানজি রামকে হাজির করা হয়। ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে তাকে আদালতে নেয়া হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল এ মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে কাঠুয়ার আদালত।

সূত্র: সিয়াসাত