Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হ্যাটট্রিক করলেন হ্যারি কেইন

harry-kaneবিশ্বকাপের শুরুতে গোনায়ও ধরেনি কেউ তাদের। যে কয়টি দলকে ফেবারিটের তালিকায় তুলে ধরা হয়েছিল, সেখানে ইংল্যান্ড নামের ছিটেফোটাও ছিল না। কিন্তু গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা বিশ্বকাপের শুরু থেকে যেভাবে খেলতে শুরু করেছে, তাতে তাদেরকে ফেবারিটের তালিকায় তুলে না আনাটাই হবে অপরাধ। নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয় ম্যাচে এসে যেন নিজেদের পুরোপুরিভাবে মেলে ধরেছে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে নবাগত পানামাকে ভাসিয়েছে গোল বন্যায়। এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে ফেললেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সে সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সবার ওপরে উঠে গেলেন কেইন। ৪টি করে নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু।

chardike-ad

এবার এই দুইজনকে ছাড়িয়ে হ্যারি কেইনের দুই ম্যাচেই গোল হয়ে গেলো ৫টি। প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। পানামার বিপক্ষে প্রথম দুটি গোল করেছেন পেনাল্টি থেকে। হ্যাটট্রিকের গোলটিও এলো আচমকা। রীতিমতো সৌভাগ্যই বলা যায়। লফটাস চেক শট নিয়েছিলেন গোললক্ষ্যে। কিন্তু কেইনের কী সৌভাগ্য, বল তার পায়ের গোড়ালিতে লেগে চলে গেলো পানামার জালে। হ্যাটট্রিক হয়ে গেলো তার। বল ডিফলেকশনে যেখানে কর্নার কিংবা বল বাইরে চলে যায়, সেখানে হয়ে গেলো হ্যাটট্রিক।

সে সঙ্গে জিওফ হার্স্ট এবং গ্যারি লিনেকারের পর তৃতীয় ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন হ্যারি কেইন। এর আগে ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন জিওফ হার্স্ট। বিশ্বকাপের ফাইনালে একমাত্র হ্যাটট্রিককারী ফুটবলারও তিনি। এরপর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন গ্যারি লিনেকার।

এছাড়া ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপের পর হ্যারি কেইন দ্বিতীয় ফুটবলার, যিনি নিজের প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই অন্তত দুটি করে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের গ্রেগর ল্যাটো প্রথম দুই ম্যাচেই দুটি করে চারটি গোল করেছিলেন। সেবার তিনি হয়েছিলেন গোল্ডেন বুট বিজয়ী ফুটবলার। হ্যারি কেইনও তাহলে কী এবার গোল্ডেন বুট জয় করে নেবেন!