ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান

fakhar-zamanফর্মের তুঙ্গে থাকা কাকে বলে ফখর জামান যেনো সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৬০ রান। পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান এবার আর হাফ সেঞ্চুরিতে থামেননি, জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচে করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়েকে নয় উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান।

বুলাওয়েতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য ফখর জামান নন, পাকিস্তানের জয়ের সিঁড়িটা বরং তৈরি করে দেন বোলাররা। ওসমান খান ও হাসান আলিরা মাত্র ১৯৪ রানে গুটিয়ে দেন স্বাগতিকদের।

বুলাওয়েতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটা বোধহয় সেখানেই হেরে বসে তারা! কারণ তিন রানের মধ্যেই প্রথম উইকেট হারাতে হয় তাদের। ১৮ রানে দ্বিতীয় এবং ৮০ রানের মধ্যে আরো একটা উইকেট হারায় তারা।

এরপর অবশ্য জিম্বাবুয়েকে কিছুটা স্থীরতা দেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও পিটার মুর। তারা দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের কাছে ওসমান ও হাসানের কোনো উত্তর ছিলো না।

ওসমান খান ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট। হাসান আলি ১০ ওভার বোলিংয়েরই সুযোগ পাননি। আট ওভার দুই বলে ৩২ রান দিয়ে তিনি নেন তিন উইকেট। জিম্বাবুয়ের হারের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে যায় তখনই। কিন্তু বাকি ছিলো ফখর জামানের দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনী।

১৯৪ রানের মামুলি সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে ১১৯ রানে ইমাম উল হককে হারায় পাকিস্তান। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে জুটি গড়েন ফখর। ১২৯ বলে ১৬টি চারে ১১৭ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন বাবরও। তিনি করেন ২৯ রান।

বাবর আজম তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন গত চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালে। ভারতের বিপক্ষে সেই সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানকে ট্রফি জেতান তিনি।