জাপানিদের ব্যতিক্রমী ও উন্নত প্রযুক্তির কথা আমরা অনেকেই জানি। বাস্তবে জাপানে এমন সব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যা বহু মানুষ ভাবতেও পারবে না। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু প্রযুক্তি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রাইট সাইড।
১) অভিনব পেট্রল পাম্প: জাপানের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে ওপর থেকে ঝোলানো পাইপ দেখা যায়। এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নিজে পেট্রল পাম্প ব্যবহারের ক্ষেত্রে। পাইপ হাতের নাগালে পাওয়ার জন্য কষ্ট করতে হয় না এতে।
২) বিশেষ ভেন্ডিং মেশিন: জাপানিরা তাদের সময়ের মূল্য দিতে পছন্দ করেন। এটি স্পষ্টতই যে কেন তারা ভেন্ডিং মেশিনগুলি আবিষ্কার করেন, এই মেশিনটি আপনাকে শুধুমাত্র আলু চিপস এবং চকোলেটই দিবে না বরং সেইসাথে ভাজা আলু, সেদ্ধ ডিম, পশুর খাবার এবং পাস্তা সরবরাহ করে।
৩) অভিনব পার্কিং: জাপানের বড় শহরগুলোতে স্থানের অভাব তীব্র। আর তাই গাড়ি পাকিংয়েও অভিনবত্ব চোখে পড়ে। বহু পার্কিংয়েই একটি গাড়ির ওপর অভিনব কায়দায় আরও গাড়ি রাখা হয়।
৪) অন্ধদের জন্য পানীয়ের ক্যান: যারা দেখতে পান না তারা জানতে চান তারা কি পান করছে। জাপানিরা এই বিষয়ে ইতোমধ্যেই চিন্তা করেছেন, এজন্যেই আপনি সেই দেশে এমন কোন ড্রিংকস খুঁজে পাবেন না যার উপরে ব্রেইল লেখা নেই।
৫) ব্যাগ রাখার জায়গাসহ চেয়ার: বিভিন্ন স্থানে চেয়ারে বসার সময় আপনি কি ব্যাগ রাখতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন? জাপানিরা বহুদিন আগেই এ সমস্যার সমাধান করেছে। তারা চেয়ারের এক পাশে ব্যাগ রাখার জন্য একটি খাঁজের ব্যবস্থা করেছে।
৬) পায়ের স্পার সাথে ট্রেন: আপনি স্পষ্টভাবে এই ধরনের ট্রেন কোথাও দেখতে পাবেন না! আপনি আপনার পায়ের জন্য গরম পানির স্নানের সাথে শহরতলীর বিশেষ ট্রেনের টিকিট পেতে পারেন, যাতে আপনি দৈনিক চাপ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন এবং আপনার যাত্রা শুরু করতে পারেন।
৭) রাস্তায় বিনামূল্যে টিস্যু দেওয়া হয়: আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন? শীঘ্রই ভালো হওয়ার জন্য সেখানে বিনামূল্যে টিস্যু দেওয়া হয়। জাপান এভাবে কাজ করে। তারা সেটি রাস্তায় বিনামূল্যে প্রদান করে!
৮) মাল্টি ফাংশনাল টয়লেট: জাপানের টয়লেট শুধু তাদের মৌলিক কাজকর্ম পরিবেশন ছাড়াও আরো অনেক কিছু করে। তারা বেশ আক্ষরিকভাবে সবকিছু করেঃ প্রতিবন্ধী মানুষদের সাহায্য করে, নিজে নিজেকে পরিষ্কার করে এমনকি নিজেদেরকে গরম করে।
৯) মানসিক চাপ কমানোর পপার: জাপানিরা প্রচুর কাজ করে। এতে তাদের মানসিক চাপও বেশি থাকে। আর এ চাপ কমানোর জন্য একটি উপায় হলো বুদবুদ ভাঙা। এজন্য পপার পাওয়া যায় জাপানে। এগুলো অনেকেই চাবির রিংয়ে বহন করে।
১০) ট্যাক্সির স্বয়ংক্রিয় দরজা: জাপানের বেশিরভাগ ট্যাক্সিগুলিরই স্বয়ংক্রিয় দরজা রয়েছে, আপনাকে জোর দিয়ে সেগুলো খোলা বা বন্ধ করতে হবে না।
১১) ঘুমানোর হোটেল: আপনি যদি ভালো ঘুমের জন্য একটি সুন্দর আরামদায়ক ছোট কক্ষ পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাহলে আপনি জাপানের ক্যাপসুল হোটেলে যেতে পারেন। লোকজন সহজেই বিশ্রামের জন্য তাদের পরিদর্শন করে। অনেকেই নিশ্চয় এতে একমত হবেন।
১২) সংগীতের সড়ক: জাপানের বিভিন্ন সড়কে সংগীতের সুর শোনা যায়। এ ছাড়া রয়েছে সংগীতের বিভিন্ন চিহ্নেরও ব্যবহার। দীর্ঘযাত্রায় এ ধরনের রাস্তা খুবই কার্যকর।
১৩) বিড়ালের ক্যাফে: বিড়াল মানেই আরামপ্রিয় এবং উষ্ণতা এবং জাপানিরা এটি জানেন। এ কারণে তারা বেশ কয়েকটি ক্যাফেটেরিয়া খুলেছেন যা বড় বড় বিড়াল দিয়ে পূর্ণ।
১৪) কোটাতসু গরম টেবিল: আমরা আপনার সম্পর্কে জানি না কিন্তু আমরা এই জিনিসগুলোর নিচে বাস করার জন্য চেষ্টা করতে আগ্রহী। কোতোৎসু একটি কম্বল সহ একটি টেবিল যা নীচের থেকে উত্তপ্ত হয়।
১৫) ঘোষণা সিস্টেম: জাপানে লাউডস্পিকারের একটি সিস্টেম আছে যা সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দেয়। এটি জরুরী অবস্থা সম্পর্কে মানুষকে জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন ভূমিকম্প বা সুনামি। যখন সবকিছু ঠিক থাকে, তখন তারা জনসাধারণের জন্য সুন্দর গান বাজায় এবং সন্ধ্যার সময় শিশুদেরকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ঘোষণা করে।
১৬) কাজে ঘুমের সুযোগ: দুপুরের খাবার খাওয়ার পর অফিসে ঘুম আসলে আপনি কি করেন? জাপানিরা এই স্বাভাবিক তাড়নের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র বিবাদ করেনি এবং প্রত্যেককে কাজের সময় ঘুমানোতে আইনগত অধিকার প্রদান করে।
