Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অবৈধ সন্তান রয়েছে ট্রাম্পের

trumpমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেপরোয়া জীবন-যাপনের খবর প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে আসছে। একাধিক পর্নস্টারের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার প্রকাশ্যে এল দীর্ঘদিন ধরে চেপে রাখা একটি খবর।

‘ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার’র এক কর্মী জানিয়েছেন, এক গৃহপরিচারিকার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে। ওই কর্মীর নাম ডিনো সাজুদিন।

chardike-ad

ডিনোর আইনজীবী বলেছেন, তার মক্কেলের সঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ন্যাশনাল এনকোয়ারারের একটি চুক্তি হয়। তাদের কাছে ট্রাম্পের ওই অবৈধ সম্পর্কের খবর ছিল। কিন্তু তারা ২০১৫ সালে ডিনোর সঙ্গে একটি চুক্তি করে। ঠিক হয় ট্রাম্পের গোপন তথ্য ফাঁস করা যাবে না।

ওই শর্তে ডিনোরকে ১০ লাখ ডলার দেয়া হয়। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এবার ডিনো মার্কিন এই প্রেসিডেন্টের পুরনো কুকীর্তি সামনে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্পের অবৈধ সন্তান থাকার খবরে যুক্তরাষ্ট্রে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ন্যাশনাল এনকোয়ারের সম্পাদক বলেছেন, ট্রাম্প সম্পর্কিত ওই খবর চেপে রাখার জন্য ডিনোকে অর্থ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তা ছাপা হয়নি।

এদিকে, যৌন সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক পর্ন তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়ের রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কথা না বলতে এক আইনজীবীর মাধ্যমে ওই তারকাকে নির্বাচনের এক মাস আগে এ অর্থ দেয়া হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০০৫ সালে মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিয়ে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তৃতীয় এ বিয়ের আগের বছর ২০০৬ সালে পর্ন তারকা স্টিফেন ক্লিফর্ডের মুখ বন্ধ রাখতে ওই অর্থ দেন ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন। লস অ্যাঞ্জেলসের সিটি ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ওই অর্থ স্থানান্তর করা হয়।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ক্লিফর্ড বলেন, ২০০৬ সালে পরিচয়ের পর ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি; এতে দু’জনেরই সম্মতি ছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার লেইক তাহোতে ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয়ের সময় ক্লিফর্ডের বয়স ছিল ২৭ বছর।

তবে এই সম্পর্কের বিনিময়ে ট্রাম্পের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ক্লিফর্ড। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ট্রাম্পের কাছে থেকে গোপনে অর্থ নিয়েছি বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। সত্যিই ট্রাম্পের সঙ্গে আমার এক ধরনের সম্পর্ক ছিল; যেটা আপনি সংবাদে পাবেন না।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ