Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদি আরবের গরম থেকে যেভাবে রক্ষা পান হাজিরা

kabaসৌদি আরবের মক্কাসহ সর্বত্র অধিক তাপমাত্রার কারনে খুব বেশী প্রয়োজন না হলে হজযাত্রিরা হোটেল বা বাড়ির বাইরে বের হননা। বিশেষ করে দিনের বেলা প্রচণ্ড রোদের কারনে ছাতা ছাড়া বের হলে সারা শরীর গরম হাওয়ায় পুড়ে যায়! কিন্তু ব্যতিক্রম হেরেম শরীফ অর্থাৎ কাবা ঘর।

মক্কার সর্বত্র গরম থাকলেও কাবায় সারাক্ষণই ঠাণ্ডা থাকে। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, কাবাঘর তাওয়াফ ও সাহি করতে দিনরাত ২৪ ঘন্টাই লাখো লাখো হাজির পদচারণা ও গাদাগাদি থাকলেও হেরেম শরীফের চৌহদ্দিতে প্রবেশ করা মাত্রই হিমেল হাওয়ায় সারা শরীর জুড়িয়ে যায়। তাই অনেক হাজি ও মুসুল্লী দিনভর হেরেম শরীফেই ইবাদত বন্দেগি করে কাটিয়ে দেন।

chardike-ad

হেরেম শরীফের ভেতরে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে শুরু করে ছাদের নীচের পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোরই সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আর কাবা চত্ত্বরে বিভিন্ন স্থানে বিশাল বিশাল আকারের ফ্যানের মাধ্যমে সারাক্ষণ পানি ছিটানো হয়।

ফ্যানের ভেতরে ছোট ছোট পানির নল লাগানো থাকে। সেই নল থেকে পানি ফ্যানের বাতাসের সাহায্যে বাস্পীয় জলের মতো কুয়াশা আকারে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে হাজিরা ঠান্ডা অনুভব করেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আল্লাহর ঘরে বিশেষ রহমত এমনি আছে, তদোপরি লাখো হাজিকে বিনা কষ্টে নামাজ পড়ার সুবিধা করে দিতে যে ধরনের কুলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে তা সত্যিই সবার জন্য অনুসরনীয়।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ