irani-missileইরান তাদের ভূমি থেকে সামুদ্রিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করছে। নতুন এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ৭০০ কিলোমিটার দূরের কোন লক্ষবস্তুকে আঘাত হানতে সক্ষম। মঙ্গলবার সামরিক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান এবং বিশ্বের অন্য ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে করা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়ে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, ইরানের সঙ্গে করা এ চুক্তিটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। কেননা সিরিয়া, ইয়েমেন, লেবানন এবং ইরাকের যুদ্ধকে সমর্থনে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত ছিল না।

chardike-ad

ইরান বলছে, তাদের এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মূলত আত্মরক্ষার জন্য। যদি ওয়াশিংটন ইরানের তেল রফতানির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এবং বাঁধার সৃষ্টি করে তাহলে উপ-সাগরীয় হরমুজ প্রণালী দিয়ে তেলবাহী জাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তারা।

ইরানের বিপ্লবী নিরাপত্তা বাহিনীর আকাশসীমা বিষয়ক শাখার প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ বলেন, ‘আমরা ভূমি থেকে সমুদ্রে আঘাত হানতে পারে এমন ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছি। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ৭০০ কিলোমিটার দূরে থেকেও যে কোন জাহাজ অথবা রণতরীকে আঘাত করতে পারবো।’

তবে তিনি দেশটির পূর্ববর্তী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ব্যাপ্তি সম্পর্কে কিছু বলেন নি। এর আগে ২০০৮ সালে ইরান ভূমি থেকে সমুদ্রে আঘাত করতে সক্ষম যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থাটির প্রদর্শন করে তার ব্যাপ্তি ছিলো ২৯০ কিলোমিটার।