আরব আমিরাতে ক্রিকেট সিরিজ, আর সেটা জিতবে না পাকিস্তান- এমনটা খুব কমই হয়। তারওপর সিরিজটা যদি হয় টি-টোয়েন্টির, তাহলে তো কথাই নেই। অবধারিত জয় পাকিস্তানিদের। এই যেমন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও জিতে নিলো পাকিস্তানিরা। সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচে কিউইদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল।
এ নিয়ে টানা ১১টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, টানা ১১টি ম্যাচে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডও গড়লো পাকিস্তানিরা। শেষ ম্যাচটিতে একেবারে শেষ ওভারে এসে হয়তো জিততে হয়েছে। তবে কখনোই মনে হয়নি তারা হারতে পারে। বরং, হেসে-খেলেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা।
কিউইদের গড়া ১৫৩ রানের জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। ২১ বলে ৩৪ রান করে পাকিস্তানের জয়ের শেষের নায়কে পরিণত হন মোহাম্মদ হাফিজ। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি মারেন ২টি ছক্কার মার।
ওপেনার ফাখর জামান ১৫ বলে ২৪ রান করে আউট হন। আরেক ওপেনার বাবর আজম খেলেন ৪১ বল। তিনি ওয়ানডে স্টাইলে ৪১ বলে করেন ৪০ রান। এছাড়া আসিফ আলি ৩৪ বল খেলে করেন ৩৮ রান। বাবর আর আসিফ জয়ের জন্য রানের ভিত গড়ে দেয়ার কাজটা করে যান। শেষ মুহূর্তে মারকুটে ব্যাটিং করে ফিনিশিং আনেন মোহাম্মদ হাফিজ। ১০ রান করেন শোয়েব মালিক।
মোহাম্মদ হাফিজের আগে নিউজিল্যান্ডের রান আটকে রাখার মূল কাজটি করেন মূলতঃ শাহিন আফ্রিদি। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা কিউইদের ওপর আগুন ঝরান শাহিন আফ্রিদি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২০ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। শুরুতেই গ্লেন ফিলিপসকে তুলে নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে শুভ সূচনা করেন তিনি।
এরপর তুলে নেন কেন উইলিয়ামসন এবং টিম কেইফার্টের উইকেট। সবচেয়ে বড় কাজটা করেছেন রান আটকে রেখে। তার করা ২৪ বল থেকে মাত্র ২০ রান নিতে পারলো কিউইরা। যার ফলে ২০ ওভারের খেলা শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৩ রান। শাহিন আফ্রিদি ছাড়াও ইমাদ ওয়াসিম এবং মোহাম্মদ হাফিজ নেন ১টি করে উইকেট। ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার ওঠে শাহিন আফ্রিদির হাতে।