Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অভিষেকেই বিশ্বরেকর্ড নাঈমের

nayemঅভিষেকটা হতে পারতো চলতি বছরের জানুয়ারিতেই। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময় তাকে হুট করেই দেশে ফেরত আনা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা দিয়ে।

চমক জাগিয়ে স্কোয়াডে নিলেও সেবার সেরা একাদশে খেলার সুযোগ পাননি ১৭ বছর বয়সী অফ স্পিনার নাঈম হাসান। সুযোগ পেলেন দশ মাস পর। আর একাদশে জায়গা পেয়েই বিশ্বরেকর্ড গড়লেন চট্টগ্রামের এ তরুণ ক্রিকেটার।

chardike-ad

রোস্টন চেজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে শুরু, জোমেল ওয়ারিকানকে দিয়ে পূর্ণ হলো পাঁচ উইকেট। মাঝে তিনি সাজঘরে ফেরান সুনিল অ্যামব্রিস, দেবেন্দ্র বিশু ও কেমার রোচকে। নিজের অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট নেয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন চট্টগ্রামের এ তরুণ।

২০১১ সালে ১৮ বছর ৬ মাস ৯ দিন বয়সে নিজের অভিষেকে ৭৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স। এতদিন ধরে এটিই ছিলো সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ কিংবা তার বেশি উইকেট নেয়ার রেকর্ড। বাংলাদেশের নাঈম মাত্র ১৭ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে পাঁচ উইকেট নিয়ে গড়লেন নতুন রেকর্ড।

কামিন্স-নাঈম ছাড়াও ১৮ বছরের মধ্যে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ড আছে আরও তিন বোলারের। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের শহিদ নাজির ১৮ বছর ১০ মাস ১৩ দিন বয়সে, ১৯৯৮ সালে একই দেশের শহিদ আফ্রিদি ১৮ বছর ৭ মাস ২১ দিন বয়সে এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ বছর ১১ মাস ২৬ দিন বয়সে অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।

অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়লেও, অল্পের জন্য সবমিলিয়ে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়া হয়নি নাঈমের। ১৯৫৮ সালে ১৬ বছর ৯ মাস ৩০ দিন বয়সে পাঁচ উইকেট নিয়ে এ রেকর্ড নিজের দখলে নিয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের উসমান ঘানি।

এ রেকর্ডের দ্বিতীয় নামটিও একজন পাকিস্তানির। ২০০৯ সালে ১৭ বছর ৮ মাস বয়সে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। এ দুইজনের পরের নামটিই এখন নাঈম হাসানের। ১৭ বছর ১১ মাস ২০ দিন বয়সে এ তালিকার তিন নম্বরে উঠে নাঈম চারে পাঠিয়ে দিয়েছেন স্বদেশি এনামুল হক জুনিয়রকে। এনাম জুনিয়র পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ১৮ বছর ৬ মাস ১ দিন বয়সে।