Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

হংকংকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ

mosaddekইমার্জিং এশিয়া কাপে অন্যতম ফেবারিট বাংলাদেশ; কিন্তু এই ফেবারিটরাই কি না নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের কাছে হেরে গেলো ৯৭ রানে! ব্যটসম্যানদের যারপরনাই ব্যার্থতার পরাজয়ের তিলক পরতে বাধ্য হয় নুরুল হাসান সোহান এবং মোসাদ্দেক হোসেনরা।

তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংকে হারিয়ে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দল। হংকংয়ের দলটিকে বাংলাদেশ হারিয়ে ২৮ রানের ব্যবধানে। নিজেরা প্রথমে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে ২৮৭ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। জবাব দিতে নেমে হংকংও কম যায়নি। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করে ফেলেছিল তারা।

chardike-ad

সাউথএন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত লেট অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে না পারায় হেরে যেতে হয়েছে হংকংকে। সৌভাগ্য বাংলাদেশের, ২৮ রানের ব্যবধানে জিতে কোনোমতে নিজেদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে তারা।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই ওপেনার মিজানুর রহমানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৮ রান করে ফিরে যান মিজানুর। তবে জাকির হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ওঠে ৮০ রানের জুটি। ৫২ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। জাকির হাসান ৬৩ বল খেলে করেন ৪৯ রান। ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন তিনি। দলীয় ৯৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান জাকির হাসানও।

এরপর মোসাদ্দেক হোসেন আর ইয়াসির আলি মিলে দলকে একটা শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন। এ দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৯০ রানের জুটি। দলীয় ১৮৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে আউট হয়ে যান ইয়াসির আলি। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়ে তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন। আফিফ হোসেন করেন ২০ রান।

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেন ১৭ রান। তবে সোহান আউট হওয়ার আগেই সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করার পরের বলেই এহসান নওয়াজের বলে আউট হয়ে যান মোসাদ্দেক। ততক্ষণে দলের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে দিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ২৮৬।

জবাব দিতে নেমে নিজাকাত খান আর আইজাজ খান মিলে দারুণ সূচনা করেন। তবে দু’জনের ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন খালিদ আহমেদ। ১৫ রান করে আউট হন আইজাজ খান। রাগ কাপুরও করেন ১৫ রান। ৭৬ রানে দুই উইকেট পড়ার পর ১০১ রানের জুটি গড়েন নিজাকাত খান এবং বাবর হায়াত। এ সময় পরাজয়ের শঙ্কাই ফুটে ওঠে বাংলাদেশ শিবিরে।

তবে শেষ পর্যন্ত নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হয়ে যান ৯৫ বলে ৯২ রান করা নিজাকাত খান। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। ৯৫ বলে ৯১ রান করেন বাবর হায়াতও। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার তিনিও মারেন। বাবর হায়াতের উইকেট নেন খালিদ আহমেদ। শেষ দিকে এহসান খান ২২ বলে ২৬ রান নিলেও পরাজয় এড়াতে পারেননি। ৭ উইকেটে ২৫৮ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস।

খালিদ আহমেদ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম এবং নাঈম হাসান। ৯ ডিসেম্বর করাচী ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।