Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ম্যাচ সেরা মিরাজ, সিরিজ সেরা হোপ

miraz-hopeসিলেটের উইকেটে স্পিনারদের জন্য কিছু থাকবে, এ কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ গতিময় পেসার ওশান থমাসকে বসিয়ে রেখে মাঠে নামিয়েছে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনকে। কিন্তু বাজিমাতটা করলেন ঠিকই বাংলাদেশের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ের শুরু থেকে এক প্রান্তে মিরাজকে দিয়ে টানা বোলিং করিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দুই স্পেলেই নিজের ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে ফেলেন মিরাজ। প্রথম স্পেলে করেছিলেন ৮ ওভার। পরের স্পেলে বাকি দুই ওভার। দলীয় ২৬ ওভারের মধ্যেই মিরাজের কোটা শেষ।

chardike-ad

অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন মিরাজ। নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১ ওভার মেডেন। রান দিয়েছেন মোটে ২৯টি। তার এমন কৃপণ বোলিং আর উইকেট নেয়ার কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামতে হয়েছিল ১৯৮ রানের মধ্যে।

শেষ পর্যন্ত ৬৯ বল হাতে রেখেই সহজে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের অপরাজিত ৮১ এবং সৌম্য সরকারের ৮০ রানের ওপর ভর করেই জয়ের বন্দরে পৌছাঁয় টাইগাররা।

এমন ম্যাচজয়ী বোলিংয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা অন্য কারও হাতে উঠবে সে সম্ভাবনাও ছিল কম। ম্যাচ শেষে তাই বিচারকদের দৃষ্টিতে সেরা হিসেবে উঠে এলো মেহেদী হাসান মিরাজের নামই।

মিরাজ ম্যাচ সেরা হলেও সিরিজ সেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান সাই হোপ। টানা দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ঢাকায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ছিলেন ১৪৬ রানে অপরাজিত। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সিলেটেও করলেন সেঞ্চুরি এবং এখানেও থাকলেন অপরাজিত। তার উইকেট নেয়ারই যেন কোনো বোলার নেই বাংলাদেশ দলে। প্রথম ওয়ানডেতেও করেছিলেন ৪৩ রান। সব মিলিয়ে তাই সিরিজের সেরার পুরস্কারটি তুলে দেয়া হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফল এই ব্যাটসম্যানের হাতে।