Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১৭ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে সরকারি ছয় ব্যাংক

takaখেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে মূলধন ঘাটতি থেকে বেরোতে পারেনি নয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ছয়টি ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। বাকি এক হাজার ৮৮৩ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে বেসরকারি তিন ব্যাংকে। মূলধন ঘাটতি নিয়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তিন মাস আগে খেলপি ঋণ ছিল ৮৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। আর গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ছিল ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকার ঋণ। তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আর এ বছরের নয় মাসে বেড়েছে ২৫ হাজার ৬৭ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক নীতির আলোকে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি বিবেচনায় মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। খেলাপি ঋণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে মূলধন সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বাড়ে।

chardike-ad

বর্তমান নিয়মে একটি ব্যাংকের মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকা এর মধ্যে যা বেশি, সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হয়। ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে পর্যায়ক্রমে এটি ১২ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর ৯৫ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা মূলধনের প্রয়োজন ছিল। ব্যাংকগুলো রাখতে সক্ষম হয়েছে এক লাখ এক হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা, যা সামগ্রিক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ৯টি ব্যাংকে ঘাটতি থাকলেও অনেক ব্যাংকে বাড়তি মূলধন রাখায় সামগ্রিক পরিস্থিতি ইতিবাচক রয়েছে।

মূলধন ঘাটতির তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে আগের মতো সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ব্যাংকটির ঘাটতি রয়েছে আট হাজার ২০৬ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘাটতি জনতা ব্যাংকে। ব্যাংকটির তিন হাজার ৯২৩ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। জুনে ঘাটতি ছিল ২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। অনিয়মের মাধ্যমে ক্রিসেন্ট ও এননটেক্স নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণের উল্লেখযোগ্য খেলাপি হওয়ায় চাপে পড়েছে জনতা ব্যাংক। বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি তিন হাজার ১০৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে তিন হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের ঘাটতি কমে ৬৬৩ কোটি টাকা হয়েছে। রূপালী ব্যাংকের ঘাটতি কমে ২৮৬ কোটি টাকায় নেমেছে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ঘাটতি ৬৪৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৬৬৯ কোটি টাকা হয়েছে। আর সোনালী ব্যাংকে গত জুনে ৬ হাজার ৬০২ কোটি টাকায় থাকলেও সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটি ৮৪৮ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ঘাটতি সামান্য বেড়ে এক হাজার ৫৪০ কোটি টাকা হয়েছে। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০৮ কোটি টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঘাটতি ৪৬ কোটি টাকা থেকে কমে ৩৫ কোটি টাকায় নেমেছে। ফারমার্স ব্যাংকে মার্চ পর্যন্ত ৩০২ কোটি টাকার ঘাটতি ছিল।

সৌজন্যে- সমকাল