Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আমিরাতে শিশুর জীবন বাঁচিয়ে পুরস্কৃত হলেন সেই বাংলাদেশি শ্রমিক

amirat-farukhসংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে অগ্নিকাণ্ড কবলিত একটি দালানে আটকে পড়া তিন বছরের এক শিশুকে বাঁচিয়ে দেশটির সিভিল ডিফেন্স হতে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন প্রবাসী সেই বাংলাদেশি শ্রমিক।

তার নাম মোহাম্মদ ফারুক ইসলাম (৫৬)। তার বাবার নাম নুরুল হক পোকমাস্টার প্রয়াত। বাংলাদেশে তার বাড়ি চট্টগ্রাম রাউজান থানার কদলপু্রে লস্করদীঘি গ্রামের খলিফা পাড়া।

chardike-ad

গত মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান অঙ্গরাজ্যে ফারুক ইসলামের হাতে পদক ও সম্মাননা তুলে দেন দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা (সিভিল ডিফেন্স) অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

সম্মাননাপত্রে ফারুকের কাজকে ‘অসীম সাহসিকতা ও মানবিক অবদান’ বলে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘খালিজ টাইমস’ গালফ নিউজ, দ্য ন্যাশনাল, আল খালিজসহ অন্যান্য পত্রিকায় গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে ফারুকের নাম।

জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার মাগরিবের নামাজের একটু আগে আজমানের আল নুয়েইমিয়া-২ এলাকায় আগুন হতে উদ্ধারকৃত তিন বছরের পাকিস্তানি শিশু।

সেদিন অগ্নিকাণ্ড কবলিত আজমানের ভবনটির পাশে একটি মুদি দোকানে যাচ্ছিল মোহাম্মদ ফারুক। তখন ভবনটির তিন তলার সমান উঁচু জানালায় ভবনের বাসিন্দা এক পাকিস্তানি নারীকে উর্দুতে আর্তনাদ করতে করতে তার তিন বছরের শিশুপুত্রকে বাঁচানোর জন্য সাহায্য চাইছিলেন। এ সময় পথচারীদের কেউ তাতে সাড়া না দিয়ে তাকিয়ে ছিল। তখন তিনি এগিয়ে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলে ওই নারী ওপর থেকে তার সন্তানকে ছুড়ে ফেলেন এবং ফারুক শিশুটির জীবন বাঁচান।

শিশুপুত্রকে নিরাপদ দেখার পর ওই নারী নিজেও লাফ দেন এবং নিচে পার্ক করা একটি গাড়ির ওপর পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে খালিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনার সময় নারীর স্বামী মোহাম্মদ সাকিব তার অফিসে ছিলেন বলে জানা গেছে। তিন বছরের শিশুর জীবন বাঁচানোর এ ঘটনায় ফারুক ইসলাম দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।