Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

অনিয়ম ধরতে রোগী সেজে চিকিৎসককে ফোন মাশরাফির

mashঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের (ডিপিএল) এবারের মৌসুম শেষ হতেই ছুটি পেয়ে নড়াইলের পথে ছুটেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে পরিবার নয় বরং নিজের এলাকার উন্নয়ন কাজের তদারকিতে নড়াইলে গেছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের এই অধিনায়ক। আর সেই তদারকিতে মাশরাফি যেন আবির্ভূত হলেন অগ্নিমূর্তি হয়ে!

ঝটিকা এক সফরে মাশরাফি হাজির হন নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে নানা সমস্যার কথা শুনে খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পান, পুরো হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র এক জন ডাক্তার। মাশরাফি জানতে পারেন, ছুটি ছাড়াই এক জন চিকিৎসক ৩ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন!

chardike-ad

ক্ষিপ্ত হয়ে মাশরাফি রোগী সেজে ওই চিকিৎসককে ফোন করেন। ওই চিকিৎসক ফোনে রোগীকে অর্থাৎ মাশরাফিকে রবিবার হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে বলেন। এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে মাশরাফি ডাক্তারকে বলেন, ‘এখন যদি হাসপাতালের সার্জারি প্রয়োজন হয় তাহলে সেই রোগী কী করবে? চুপ করে আছেন কেন? আপনি কি ফাইজলামি করেন? চাকরি করলে নিয়ম মেনেই করবেন।’ এরপর মাশরাফি সেই ডাক্তারকে তার কর্তব্যর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসার নির্দেশ দেন।

ভিডিওতে দেখুন হাসপাতালে মাশরাফির ঝটিকা সফর ও চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনালাপ-
https://www.facebook.com/hh.shakil.2/videos/1985280601581946

এখানেই শেষ নয়, নড়াইল-২ আসনের এই সংসদ সদস্য দেখতে পান সেবিকাদের অপর্যাপ্ততাও। জানতে পারেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত নার্স থাকলেও ২-১ জন নার্স দিয়েই বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিচালিত হচ্ছে।

ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক নিচে নেমে এসে নার্সিং সুপারভাইজারদের খোঁজ করেন মাশরাফি। নার্সদের কক্ষে তালা দেখতে পেয়ে টেলিফোনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। এসময় একজন সুপারভাইজারের ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং অপরজনের ফোন খোলা থাকলেও রিসিভ করেননি।

ওই সময় রোগীরা অনুরোধ করেন হাসপাতালের বাথরুম ও তার পরিবেশ দেখার জন্য। কয়েকটি বাথরুমের দরজা ভাঙা এবং দুর্গন্ধ যা দেখে মাশরাফি নিজেই বিব্রত হয়ে যায়।

এর আগে নড়াইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন মাশরাফি। এ ছাড়া নড়াইল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, সততা স্টোর, ডিজিটাল হাজিরা শুভ উদ্বোধন করেন মাশরাফি। ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নাকসী মাদরাসা বাজারের মসজিদের কাজেরও উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা হোস্টেলের উদ্বোধন করেন তিনি।

সৌজন্যে- প্রিয়ডটকম