Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ শিশু যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়

সিউল, ২৫ মার্চ ২০১৪:

প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ১০ লাখ শিশু যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। সোমবার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটিতে প্রথমবারের মতো ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্ত অল্প বয়স্কদের হিসাবও দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘শৈশবে অনেক ক্ষেত্রে যক্ষ্মা ও একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা ধরা পড়ে না।’

chardike-ad

তথ্য-উপাত্ত ও পূর্ববর্তী গবেষণার ওপর ভিত্তি করে সমীক্ষায় বলা হয়, ২০১০ সালে ১৫ বছরের নিচে ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮০০ লোক যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে আক্রান্তদের প্রায় ৪০ শতাংশ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় এবং ২৮ শতাংশ আফ্রিকায় বাস করে।

he_jokka-holeoসাময়িকী দ্য ল্যানসেটে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। বিশ্বে প্রতি বছর যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৩ লাখ লোক প্রাণ হারায়।প্রতিবেদনটিতে অনুমান করা হয় যে ২০১০ সালে প্রায় ৩২ হাজার শিশু একাধিক ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় (এমডিআর-টিবি) আক্রান্ত হয়। এটা ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এমডিআর-টিবিতে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম সমীক্ষা। এরা বিশ্বের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ।

শিশুরা এমডিআর-টিবিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সবচেয়ে বড় ঝঁুঁকিতে রয়েছে। শিশু অবস্থায় এই রোগের ওষুধে ভাল কাজ দেয়। তবে ছোট শিশুরা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় শ্বাসনালী বা ফুসফুস থেকে নির্গত লালা, কফ বা থুথু বের করতে পারে না। তাই তাদের যক্ষ্মা সনাক্ত করা কঠিন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ২০১২ সালে প্রায় সাড়ে চার লাখ লোক এমডিআর-টিবিতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ৭০ হাজার।
এমডিআর যক্ষ্মায় আক্রান্ত ২০ শতাংশেরও কম রোগী সঠিক চিকিৎসা পায়। যথাযথ চিকিৎসা না হলে এটা আরো মারাত্মক পর্যায়ে চয়ে যায়।

যদিও প্রায় ১০ শতাংশ এমডিআর আরো মারাত্মক এক্সডিআর (এক্সটেনসিভ ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট) প্রজাতির যক্ষ্মা বলে ধারণা করা হয়। এটা আরো অধিক পরিমাণ ওষুধ প্রতিরোধী।