Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যে সমীকরণে শেষ চারে যেতে পারে বাংলাদেশ

team-bangladeshআগেই জানা ছিল, ব্রিস্টলে শ্রীলংকার চেয়ে কন্ডিশনের বিপক্ষেই বেশি লড়তে হবে বাংলাদেশক। হয়েছেও সেটা। তবে ব্রিস্টলের বৃষ্টির সাথে পেরে উঠেনি মাশরাফির দল। শ্রীলংকার বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে প্রকৃতি বিড়ম্বনায় টসও হতে পারেনি। ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা। ম্যাচ ভেসে যাওয়াতে শ্রীলংকার চেয়ে বেশি ক্ষতিটা বাংলাদেশেরই হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা কতখানি রয়েছে? ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে পরের পাঁচটি ম্যাচের চারটিতে জিতলেই শেষ চারে উঠতে পারবে টাইগাররা।

এবার বাস্তবতার জমিনে ফেরা যাক। বাংলাদেশের শেষ পাঁচটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান। যে কোনো দলের জন্যই টানা এই পাঁচটি ম্যাচ যে জেতা কঠিন সেটা কমবেশি সবাই জানে। আর বৃষ্টির কারণে যে আরো দুই-একটি ম্যাচের পরিণতি এমন হবে না সেটাও তো হলফ করে বলা যাচ্ছে না।

chardike-ad

তাহলে কি হবে? টাইগারদের জন্য প্রতিটি ম্যাচই এখন ‘ডু আর ডাই’। হারলেই শেষ চারের স্বপ্ন শেষ এমনটা ভেবেই মাঠ নামতে হবে মাশরাফিদের। অন্তত আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হবে মাশরাফিদের, এটার বিকল্প নেই। অন্য দুটি ম্যাচে জিততে না পারলেও হারটা যাতে বড় ব্যবধান না হয় সেটা অন্তত নিশ্চিত করতে হবে।

team-bangladeshটাইগারভক্তদেরও একটা দায়িত্ব নিতে হবে। সেটা হলো, বড় দলগুলোর হার প্রার্থনা। এই মূহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রার্থনা করতে হবে কিউইরা যাতে টানা কয়েকটি ম্যাচে হারে। সেই সাথে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডও যাতে আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারে।

কাগজে কলমে আফগানদের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা নেই। টানা তিন ম্যাচ হেরে সেই একই পথে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। শ্রীলংকা তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট পেলেও শক্তিমত্তার বিচারে তাদের শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা কম। ভারত-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ড যদি এই ‘দুর্বল’ দলগুলোর বিপক্ষে হেরে যায় আর বাংলাদেশ যদি টানা কয়েকটি ম্যাচ জেতে সেক্ষেত্রে কিন্তু শেষ চারে ওঠার ভালো সম্ভাবনা থাকবে। আর বৃষ্টি যদি শিরোপাপ্রত্যাশী দলগুলোর ম্যাচেও হানা দেয় সেক্ষেত্রেও ভালো অবস্থানে থাকবে মাশরাফির দল।

অতোসতো সমীকরণ হিসাব নিকাশের সুযোগ নেই। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচে জিততে হবে বাংলাদেশকে। বিজয়ীরা ভাগ্যের ভরসা বা অন্যের অনিষ্ঠ চিন্তা করার চেয়ে নিজ সামর্থ্যের ওপরই বেশি ভরসা রাখে। আর বাংলাদেশ যে নিজেদের সামর্থ্যেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারবে সেটা টাইগারভক্তরা ভালোভাবেই বিশ্বাস করে।