ডিউটি শেষে ক্লান্ত শরীরে যখন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবি এই বুঝি বউ এসে এলোমেলো চুলগুলো কানের পাশে গুজতে গুজতে দরজা খুলে দেবে। দুই ছেলে বাবার ফিরে আসার আনন্দে খেলনাগুলো ছুড়ে ফেলে দুই পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে আহ্লাদিত হয়ে তাদের প্রিয় চকলেট কিংবা চিপস খুঁজছে। আমি দুই জনকে বাহুতে চেপে পাশের
এই জেলে কোনো সীমাবদ্ধতা নেই, নির্দিষ্ট কোনো গন্ডি নেই, শাসন করার কেউ নেই, বারণ করার কেউ নেই, নেই কোনো আদেশ উপদেশ। শুধু আছে হতাশা, কষ্ট আর যন্ত্রণা। হ্যাঁ বলছি প্রবাসী প্রতিটা ছেলের এক করুন আর্তনাদের গল্পের কাহিনি। জীবন জীবিকার তাগিদে উন্নত বাসস্থানের সন্ধানে কিংবা নিজ দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রবাসী
পৃথিবীতে এমন একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর যে তার আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজনকে ইচ্ছাকৃতভাবে দূরে রাখতে চায়। সত্যিকার অর্থে এ রকম অভাগা মানুষ এ জগত সংসারে পাওয়া যাবে কিনা যতেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নিজের অজান্তে ভাগ্য, আর্থিক টানাপোড়নে অনেককে এ দূরত্বের পথিক হতে হয়। ইতালিতে অনেক মানুষ এ রকম সমস্যায় পড়ে আছে।
দেশে তখন মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করছি। একদিন বিকেলে বাসায় ফেরার পথে আরামবাগ মোড়ে ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে আছি। ঠিক তখনই অস্ট্রেলিয়ায় সপরিবারে অভিবাসী আমার ছোট বোন নিশাত ফোন করল। —ভাইয়া, তুমি অস্ট্রেলিয়ায় চলে এসো। আমাদের বাসার আশপাশেই বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলো। ইচ্ছামতো পড়াশোনা করতে পারবে। আজীবন। ডিমান্ড