অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের কোনোভাবেই সৌদি আরবে অবস্থানের অনুমতি দেবে না দেশটি। যে কোনো মূল্যে তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী আব্দেল ফকিহ।
শ্রমমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বুধবার এ খবর প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের প্রভাবশালী পত্রিকা আরব নিউজ।
মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী বলেন, যেসব অবৈধ শ্রমিক সৌদি আরবের আইন ভেঙ্গে দেশটিতে অবস্থান করছেন, তাদেরকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। কেবল তারাই থাকতে পারবেন, যারা সৌদি আরবের আইন ও নিয়ম-নীতি মেনে চলবেন।
সরকারের চলমান অভিযানের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, শ্রম বাজারে কোনো ধরনের অবৈধতা প্রশ্রয় না দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। যেকোনো মূল্যে দেশ থেকে অবৈধ বিদেশি শ্রমিক হটাতে হবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযানের গতি আরও বেগবান করতে গত সোমবার সৌদির শ্রম মন্ত্রণালয় দেশটিতে ১৫০ জনেরও বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরিদর্শক মোতায়েন করেছে। শ্রম আইন ভঙ্গকারী যেকোনো বিদেশি শ্রমিককে খুঁজে বের করতে এ ই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
ফকীহ বলেন, নতুন পরিদর্শকরা বিশ্বাস, যোগ্যতা ও সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে যারা নারী পরিদর্শক তারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিকদের কাজের অবস্থাও পরিদর্শন করবেন।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে ১০ লাখ ৩১ হাজার; যা সেদেশে মোট প্রবাসীদের মধ্যে ৩য় সর্বোচ্চ। এছাড়া নেপালের ২০ হাজার, থাইল্যান্ডের ২০ হাজার, কুয়েতের ১ লাখ ৩০ হাজার, তিউনিশায়ার ১০ হাজার প্রবাসী রয়েছে সৌদি আরবে।
অন্যদিকে, নাইজেরিয়ার রয়েছে ১০ হাজার, মরক্কোর ২০ হাজার, চাঁদের ১০ হাজার, দক্ষিণ সুদানের ৩০ হাজার, সুদানের ২ লাখ ৩০ হাজার, জর্ডানের ১ লাখ ৭০ হাজার, সিরিয়ার ১ লাখ ৪০ হাজার, ইন্দোনেশিয়ার ৩ লাখ ৮০ হাজার, সোমালিয়ার ৩০ হাজার মানুষ।
ইয়েমেনের ৪ লাখ ৬০ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ হাজার, ব্রিটেনের ৩০ হাজার, আফগানিস্তানের ২০ হাজার, ফিলিস্তিনের ১ লাখ ২০ হাজার, শ্রীলঙ্কার ১ লাখ ৫০ হাজার এবং ফিলিপাইনের ১০ লাখ ৩ হাজার মানুষ সৌদিতে রয়েছেন।