Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকাগামী বিমান হঠাৎ জ্বালানি শূন্য, জরুরী অবতর

tigerসিঙ্গাপুর থেকে ঢাকাগামী টাইগারএয়ার (সিঙ্গাপুর)-র একটি বিমান ১৪১ জন যাত্রীসহ জ্বালানিশূন্য অবস্থায় কলকাতায় জরুরি অবতরণ করায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে।

বিমামানের পাইলটের SOS (Save Our Souls) জরুরী বার্তা পেয়ে পেয়ে কলকাতায় নামার অপেক্ষায় থাকা ৭টি বিমানকে আকাশে অপেক্ষাকরার নির্দেশ দিয়ে কোলকাতার(ATC) এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল দ্রুত সিঙ্গাপুরের বিমানটিকে কলকাতায় নামার জন্য রানওয়ে খালি করে দেয়। রাত সাড়ে ৯টার সময় বিমানটিকে যখন কলকাতা নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে, তখন দেখা যায় বিমানটির ট্যাঙ্কে জ্বালানি প্রায় নেই বললেই চলে। এমন কি বিমানটির আর ১০ মিনিট উড়ার মত জ্বালানি ও অবশিষ্ট ছিলনা রিজার্ভে।

chardike-ad

এভাবে যাত্রীদের ঝুঁকির মধ্যে কেন ফেলা হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখার জন্য ভারতের সিভিল অ্যাভিয়েশনের ডিজি চিঠি পাঠিয়েছেন সিঙ্গাপুরের রেগুলেটরি অথরিটির কাছে।

বিমানবন্দর সুত্রে জানা গেছে, টাইগার এয়ারের বিমানটি ঢাকার আকাশে এসে আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু এই সময় বিমানের জ্বালানি যে কমে আসছে, তা বুঝতে পারেন পাইলট। কিন্তু, কি করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বদলে ঢাকার আকাশেই আবহাওয়া ভাল হবার আশায় উড়তে থাকে বিমানটি। এভাবে ৪০ মিনিট ওড়ার পরও আবহাওয়া অনুকূল না হওয়ায় ককপিটে দেখা দেয় চরম উৎকণ্ঠা।

বিমানের জ্বালানি দ্রুত নিঃশেষ হয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত কলকাতার দিকে মুখ ঘুরিয়ে দেয় পাইলট। কিন্তু, বিমানে আর বেশিক্ষণ ওড়ার মত জ্বালানি না থাকায় কলকাতার এটিএসকে আতঙ্কের কথা জানানো হয়। এটিএসের কর্মকর্তারা আতঙ্ক বুঝতে পেরে দ্রুত অন্য ৭টি বিমানকে আকাশে থাকার জন্য নির্দেশ পাঠিয়ে রানওয়ে খালি করে দিয়ে টাইগারএয়ারের বিমানটিকে নামার সুযোগ করে দিয়েছিল।

বিমানে অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন ঢাকার। তবে বুধবার ভোররাতে বিমানটি জ্বালানি ভর্তি করে ঢাকায় ফিরে গিয়েছে। হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন যাত্রীরা। তবে বিমানে এত কম জ্বালানি নিয়ে পাইলট বিমান নিয়ে এলেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কলকাতার আবহাওয়াও যদি বিমান অবতরণে অনুকূল না থাকতো, তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদের ঘটনা ঘটতো।