সহজে ঋণ পেতে চান? তাহলে ফেসবুকে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ান। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছে জনপ্রিয় বাণিজ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট লিঙ্কডিন। বিশেষত কম সুদে টাকা ধার করতে হলে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা দারুণ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন ওই ওয়েবসাইটের আর্থিক পরামর্শদাতারা। আয়করের সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্য আছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা সন্দেহভাজন করদাতাদের ফেসবুক প্রোফাইলে নজর রাখতে শুরু করেছেন।
যিনি ঋণ নিচ্ছেন, তার সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতা কতটা, সেটা যাচাই করে নিতে এখন ব্যাঙ্কগুলিও ঋণগ্রহীতার ফেসবুক প্রোফাইলে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে। ঋণগ্রহীতা কীভাবে জীবনযাপন করেন সেটা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তেমনই কাদের সঙ্গে তিনি মেলামেশা করেন, সেটাও দেখে নেয়া হচ্ছে। জনপ্রিয় ঋণপ্রদানকারী সংস্থা ‘ক্রেডিটমন্ত্রী’-র সহপ্রতিষ্ঠাতা রঞ্জিৎ পুঞ্জা বলেছেন,‘ফেসবুক বর্তমানে যোগাযোগের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
তাই ঋণগ্রহীতাদের সম্পর্কে ভাল করে খোঁজখবর নিতে আমরা ফেসবুক খুঁটিয়ে দেখি। বিশেষত যারা সদ্য পেশাদারগত জীবনে পা রেখেছেন, তাদের জীবনযাত্রার সম্পর্কে খোঁজ নিই। যে পরিমাণ ঋণ তারা নিচ্ছেন, সেটা শোধ করার ক্ষমতা তাদের আছে কি না, সেটা দেখাটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’ অর্থনৈতিক লেনদেনের সংস্থা ‘আর্লিস্যালারি’-র সি ই ও অক্ষয় মালহোত্রা বলেছেন,‘ভবিষ্যতে ঋণ পাওয়ার জন্য ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট থাকাটা বাধ্যতামূলক হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ফেসবুক থেকে এমন অনেক তথ্য পাওয়া যায় যা একজন ঋণদাতার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েও জানা যায় না।’