উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যায়ের একটি গোপন স্থাপনা শনাক্তের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মার্কিন একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান। এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এটি বাস্তব হলে তা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে কট্টর কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি চতুর্থ দফা ভূগর্ভস্থ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা এবং এরপর ধারাবাহিক আরও কিছু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে দেশটির সঙ্গে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের উত্তেজনা বেড়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি হাতে পায় রয়টার্স। ইনস্টিটিউট ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি নামের প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া তার সব পরমাণু স্থাপনা উন্মুক্ত করেছে কি না, সে বিষয়ে আগে থেকেই সন্দেহ রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই সম্ভাব্য যে গোপন পরমাণু স্থাপনা শনাক্ত করা গেছে তা ইয়ংবুন পরমাণু কমপ্লেক্স থেকে ২৭ মাইল দূরে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রিফিউজ তৈরিতে স্থাপনাটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ডেভিড অলব্রাইট বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া কোথায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে থাকে তা শনাক্ত করা জরুরি। এর অংশ হিসেবে এ-ও জানা প্রয়োজন, অতীতে দেশটি কোথায় এ কাজ করেছে।’
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত স্যাটেলাইটের ধারণ করা ছবিতে দেখা গেছে, সম্ভাব্য শনাক্ত হওয়া ওই গোপন পরমাণু স্থাপনা বিমানের যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কারখানার ভেতরে অবস্থিত। প্যাংইয়োন বিমানঘাঁটির কাছে একটি পর্বতবেষ্টিত এলাকায় ওই কারখানাটির অবস্থান। পরমাণু স্থাপনাটি প্রাথমিক পর্যায়ের সেন্ট্রিফিউজ নিয়ে গবেষণা ও তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে