স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইমো, ভাইবারসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভয়েস কল সুবিধা বন্ধের কোনো নীতিমালা হয়নি। তবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি’র কার্যালয়ে ‘অবৈধ আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা জানান।
শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আমরা জানি বাইরের দেশগুলোতে স্কাইপ হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইমো, ভাইবারসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ডাটা আদান-প্রদান হয়, ভয়েস কল করা হয় না। আমাদের এখানে মানুষ এগুলোতে কল করার সুবিধা পায়। এতে বৈধ কলের উপর প্রভাব পড়ে। এগুলোতে ভয়েস কল বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়নি। এ কার্যক্রম প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।
শেষ তিন মাসে কী পরিমাণ ভিওআইপি কল কমেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসিরি চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৪ সালের শেষে ভিওআইপিতে ইনকামিং কল রেট দৈনিক কমে ১ দশমিক ৫৬ হয়েছে। তার আগে এ রেট ৩ দশমিক ৪৫ ছিলো। স্বাভাবিকভাবে রেট কমানোর পর অবৈধ ভিওআইপি কলগুলো কমে লিগ্যাল ভাবে আসতে শুরু করলো। এখন প্রায় বৈধ কলের পরিমাণ দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। যা এক সময় ১২৩ মিলিয়নেও উঠেছিলো।
এ সময় ভিওআইপি ব্যবসায় টেলিটককে জরিমানার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না- এমন অভিযোগের বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা সব অপারেটর সমান ভাবে দেখি। কারো বিরুদ্ধে ভিওআইপি কলের অভিযোগ পেলে জরিমানা করা হয়। এ ক্ষেত্রে টেলিটককে কোনো ছাড় দেওয়া হয় না।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের পদত্যাগ করার বিষয়ে গুঞ্জন উঠেছে- সে ক্ষেত্রে তাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আজকের এ সংবাদ সম্মেলন কী না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আপনারা তাকে প্রশ্ন করেন। সংবাদ মাধ্যমে বিটিআরসি‘র যে বক্তব্য এসেছে তা খণ্ডানোর চেষ্টা করা হয়েছে।