অভিবাসন প্রার্থীদের চাপ কমাতে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন শ্রেণির ভিসার নীতিমালায় পরিবর্তন আনছে অস্ট্রেলিয়া। স্থায়ী বসবাসের ভিসাসহ নাগরিকত্ব গ্রহণে বাড়তি শর্ত যোগ করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নেও কাজ করছে দেশটি। তবে এখন থেকে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ গ্রহণের আগে বাধ্যতামূলক অস্থায়ী বসবাসের নতুন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। গত সোমবার (৭ আগস্ট) ভিসা পদ্ধতির সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অভিবাসন বিভাগ।
স্থায়ী বসবাসের ভিসায় আবেদন করে সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ রয়েছে বেশির ভাগ ভিসা শ্রেণিতে। আর এ জন্যই স্থায়ী বসবাসের আগে বাধ্যতামূলকভাবে অস্থায়ী বসবাসের ভিসা প্রণয়ন করবে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ভিসার সংখ্যা কমানো, ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা আরও কঠিন করাসহ অস্থায়ী বসবাসের আবশ্যিক ভিসা নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবিত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনটিতে। অন্যদিকে ভিসা প্রদান পদ্ধতি সহজ করার জন্য ফেডারেল সরকার ভিসার সংখ্যা ৯৯ থেকে কমিয়ে ১০ করার পরিকল্পনা করছে বলে জানানো হয়। এতে অভিবাসন বিভাগ সহজেই কোনো ভিসা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে বলে দাবি অভিবাসন বিভাগের। জাতীয় স্বার্থেই সেরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের পথ সহজতর করার লক্ষ্যেই ভিসা প্রণালিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে উল্লেখ রয়েছে এই প্রতিবেদনে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার ভিসা পদ্ধতির বড়সড় পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে। আলোচনার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দুই দশকে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের আবেদনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া গত ২০১৫-১৬ বছরে দেশটিতে ইতিমধ্যে অস্থায়ীভাবে বাস করছে এমন আবেদনকারীর অর্ধেকই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনের আলোচনায় উঠে আসা বিভিন্ন প্রস্তাব আইনে পরিণত হতে এখনো দেশটির সংসদে পৌঁছায়নি।






































