বাণিজ্যিক বিমান ভ্রমণের ইতিহাসে যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বছর ছিল সদ্য শেষ হওয়া ২০১৭ সাল। এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। নেদারল্যান্ডের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টু-৭০ ও দ্যা অ্যাভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের পৃথক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে যাত্রীবাহী কোনো বড় বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টু-৭০ এটাকে সৌভাগ্য হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, দুর্ঘটনার মাত্রা কমে যাওয়া তো ভবিষ্যতের জন্য ভালো। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আগের চেয়ে বেশি উড়োজাহাজ তৈরি সত্ত্বেও নিরাপদেই কেটেছে ২০১৭ সাল।
কার্গো বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে দ্যা এয়ারলাইন সেফটি নেটওয়ার্ক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৭ সালে মোট ১০টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭৯ জন মারা গেছে। ২০১৬ সালে ১৬টি দুর্ঘটনায় ৩০৩ জন প্রাণ হারায়।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তুরস্কের পণ্যবাহী বিমান কিরগিজস্তানের একটি গ্রামে বিধ্বস্ত হয়। এতে চার জন ক্রু ও ৩৫ জন নিহত হন। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। পশ্চিম কোস্টারিকাতে এক বিমান দুর্ঘটনায় ২ ক্রু ও ১২ জন যাত্রী নিহত হন।
সামরিক বিমান দুর্ঘটনার কোনো তথ্য এই পরিসংখ্যানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে গত বছরের জুন মাসে বারমিজ ওয়াই-৮ নামে একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ১২২ জন মারা যান। এটা ছিল একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
অ্যাভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্ক তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০০৫ সালে বিশ্বে বাণিজ্যিক বিমান দুর্ঘটনায় ১ হাজার লোক মারা যায়।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন