Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, ক্যান্টিনে তেলাপোকার রাজত্ব

popularপপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্যান্টিনে যেন তেলাপোকার রাজত্ব। নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে রোগীর খাবার। এছাড়া তাদের মেডিসিন কর্নারে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ।

শনিবার রাজধানীর পপুলারের ধানমন্ডি শাখায় অভিযানে এসব প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ অভিযোগে পপুলারের মেডিসিন কর্ণার, ম্যাকস কর্ণার ও কেন্টিনকে চার লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

chardike-ad

অভিযানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস ও ফাহমিনা আক্তার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

https://www.facebook.com/jagonews24/videos/307537646627916/

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আজকে পপুলারের ধানমন্ডি শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পপুলারের মেডিসিন কর্ণারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করতে দেখা যায়। যা রোগীদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। এছাড়া তারা বিদেশি ওষুধ বিক্রি করছে যার গায়ে আমদানিকারকের কোনো স্টিকার নেই। তার মানে এটি অবৈধ পথে আসা ওষুধ। না হয় ভেজাল ওষুধ বিক্রি করছে। এসব অভিযোগে পৃথক পৃথক করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি বলেন, অভিযানে ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় পপুলারের ক্যান্টিনে। নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের খাবার তৈরি করছে। পুরো ক্যান্টিন যেন তেলাপোকার রাজত্ব। এছাড়া খাবারের মানও খারাপ। এসব অপরাধে পপুলার ক্যান্টিনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। তারা এসব বিষয় সংশোধন না হলে ভোক্তার স্বার্থে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে।

অধিদফতরের এ সহকারী পরিচালক বলেন, রোগ নিরাময়ে প্রয়োজন ওষুধ। যদি হয় মেয়াদহীন ওষুধ নিরাময় বিপরীতে মরণ হবে। পপুলার নামকরা প্রতিষ্ঠান। ভোক্তার সরলতার এ সুযোগে বাড়তি মুনাফার লোভে অবৈধ পথে আসা লাগেজ পার্টির নকল পণ্য বিক্রি করেছে। ফলে কৌশলে ঠকাচ্ছে ক্রেতাদের, রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন অপরাধে ধানমন্ডির ওয়েল ফার্মাকে ৫০ হাজার টাকা, বেঙ্গলি এক্সপ্রেসকে ২০ হাজার টাকা, ইয়াম চা ডিস্ট্রিক্সকে ৫০ হাজার টাকা ও ডোমিনোজ পিজ্জাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ