মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি এক যুবককে হত্যার দায়ে দুই বাংলাদেশি নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- ইয়াসমিন (৩৫), আলেয়া (৪০)। গ্রেফতারের পরপরই দুই নারীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের সময় প্রত্যক্ষদর্শী রফিকুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি মি.ইউ। সোমবার প্রথম দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের আজ মঙ্গলবার বিকেলে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে কী কারণে মামুনকে হত্যা করা হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত জানা যায়নি।
১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে করে ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত ক্লাং মেরু এলাকায় আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২) দোকানে প্রবেশ করে। এরপর দোকানের শার্টার বন্ধ করে মামুনকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
আব্দুল্লাহ আল-মামুন সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় মালয়েশিয়া আসেন মামুন। এর মধ্যে কয়েকবার বাড়িতেও এসেছেন বেড়াতে। শুক্রবার বিকেলের দিকে মামুনের বাড়িতে সংবাদ আসে মালয়েশিয়ার একটি দোকানে কর্মরত থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ সন্দেহভাজন দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচার হবে বললেন দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা। এ দিকে মামুনের লাশ ক্লাং হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে মামুনের লাশ দেশে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।